জল্পনার অবসান। সর্বসম্মতিক্রমে বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছে নীতীশ কুমারই। রবিবার পাটনায় বসেছিল এনডিএ-এর বৈঠক। সেখানেই জেডিইউ প্রধাকে চতুর্থবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নেওয়া হয়। বিতর্ক থাকলেও জানা গিয়েছে আগের মতই নীতীশের সহযোগী থাকছেন বিজেপির সুশীল মোদী। আজই শপথ নেবে নীতীশ কুমার।
গত মঙ্গলবারই বিহার বিধানসভার ফল প্রকাশ পায়। ২৪৩ বিধায়ক বিশিষ্ট বিধানসভায় হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ১২৫ আসন পেয়েছে এনডিএ। মাত্র ৪৩টি আসন পেয়েছে শাসক জোটের প্রধান শরিক। আসনের নিরিখে যা তাদের সহযোগী দল বিজেপি ও আরজেডির চেয়ে কম। আরজেডির আসন সংখ্যা ৭৫ ও বিজেপির ৭৪। দুই ছোটো শরিক হ্যাম ও ভিআইপি পেয়েছে চারটি করে আসন।
আসনের বিচারে বিহারে এখন তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি নীতীশ কুমারের জেডিইউ। এই পরিস্থিতিতে বিজেপি কী নীতীশকে মুখ্যমন্ত্রী পদ ছেডে় দেবে? নাকি অন্য কেউ হবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী? এই নিয়ে শুরু হয় জোর চর্চা। এর মধ্যেই দু'দিন আগে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগ পত্র পেশ করেন। বলেছিলেন, 'আমি মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবি করব না। এনডিএ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন তা নির্ধারিত হবেন।' যা মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে জল্পনায় ইন্ধন জোগায়।
ভোটের আগেই অমিত শাহ ও জেপি নড্ডা বলে দিয়েছিলেন যে আসন সংখ্যা যাই হোক না কেন, ভোটে জিতলে মুখ্যমন্ত্রী নীতিশই। মুখ্যমন্ত্রী যে নীতিশ হবেন, সেটা সাফ করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীও। সেই প্রতিশ্রুতি বজায় রইল। এদিন নীতীশ কুমারকেই ফের মুখ্যমন্ত্রী বেছে নিল এনডিএ।
এনডিএ-এর বৈঠকে হাজির ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। এনডিএ-এর বৈঠকের আগে এদিন বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠক হয়। ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সঞ্জয় জয়েশওয়াল।
শাসক শিবিরের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন বিরোধী আরজেডি নেতা মনোজ ঝাঁ। তাঁর দাবি, 'জনাদেশ নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে। মাত্র ৪৩ আসন পেয়ে জেডিইউ-এর শক্তি তলানীতে। তাই নীতীশ কুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা আসলে মানুষের মতামতকেই অসম্মানের সামিল। বিহার তার বিকল্প খুঁজে নেবে। তার জন্য হয়তো এক সপ্তাহ, দশ দিন, এক মাস সময় লাগবে। '
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন