পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির অভিযোগ। যার জেরে দায়িত্ব গ্রহণের তিনদিন পরেই পদত্যাগ করলেন বিহারের নবনিযুক্ত শিক্ষামন্ত্রী মেওয়ালাল চৌধুরি। বৃহস্পতিবার নিজের ইস্তফাপত্র তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের কাছে জমা দিয়েছেন। এই ঘটনায় মুখ পুড়ল বিহারের এনডিএ সরকারের। তবে মেওয়ালালের সাফাই, "চার্জশিট ফাইল হলে বা আদালত নির্দেশ দিলে তবেই দোষ প্রমাণিত হয়। কিন্তু কোনওটাই হয়নি। আমার বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।"
বুধবারই রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল আরজেডি নীতীশ সরকারকে আক্রমণ করে মেওয়ালালকে শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত করার জন্য। আরজেডি সাংসদ ও মুখপাত্র মনোজ কুমার ঝা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "নির্বাচনের ফলাফলের পর ফের একবার মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দৈন্যদশা প্রকাশ পেল মেওয়ালালকে শিক্ষামন্ত্রী নিযুক্ত করার ঘটনায়। বিহারের মানুষের কাছে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছেছে যে এই সরকারের কাছ থেকে ভাল কিছু আশা করা যায় না।"
আরও পড়ুন বিহারের মুখ্য়মন্ত্রী পদে নীতীশের শপথ, বয়কট তেজস্বীদের
গত ২০১৭ সালে নৈতিকতা দেখিয়ে দুর্নীতির অজুহাত দিয়ে মহাজোট ছেড়়ে বেরিয়ে যান তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট ভাঙেন তিনি। বিহারের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীনই মেওয়ালালের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তিনি-সহ ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে মেওয়ালালের তত্ববধানে ১৬৭ জন সহকারী তথা জুনিয়র সায়েন্টিস্ট নিয়োগে স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠে। সেটা এবারের নির্বাচনে হলফনামাতেও স্বীকার করেছিলেন জেডিইউ বিধায়ক মেওয়ালাল। তিনি মুঙ্গের জেলার তারাপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হন।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন