মোদীগড়ে বিতর্কের মুখে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেতা পুরুষোত্তম রূপালা। তাঁর মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রাজপুত সমাজের ক্ষোভ এখন তুঙ্গে। এবারের নির্বাচনে রাজকোট লোকসভা আসন থেকে দল তাঁকে প্রার্থী করেছে। এখন প্রবীণ বিজেপি নেতা পুরুষোত্তম রূপালার প্রার্থীপদ বাতিল না করে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে রাজপুত সমাজ।
বিতর্কের সূত্রপাত রূপালার একটি মন্তব্যকে ঘিরে। দলিত সম্প্রদায়ের এক অনুষ্ঠান থেকে রাজপুতদের বিরুদ্ধে বিদেশি ও ব্রিটিশ তোষণের অভিযোগ আনেন তিনি। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন গুজরাটের দলিত সম্প্রদায় তাদের ধর্ম পরিবর্তন করেননি বা ব্রিটিশদের সঙ্গে কোন সম্পর্কও করেনি।
আন্দোলন চালাচ্ছেন রাজপুত সমাজের রামজুভা জাদেজা বলেন, “বর্তমানে আমাদের একটাই দাবি বিজেপি রুপালার টিকিট বাতিল করুক। জিন্নাহর প্রশংসা করার জন্য যদি বিজেপি (মহাম্মদ আলি) লাল কৃষ্ণ আদবাণীকে পার্টি সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিতে পারে তবে একই মানদণ্ড রুপালার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। আর তিনি আদবানির চেয়ে বড় নেতা নন" ।
এদিকে রাজকোট আসনে রুপালার বিরুদ্ধে বাড়তে থাকা ক্ষোভ বিজেপি নেতৃত্বের রক্তচাপ বাড়াচ্ছে। দাবি না মানলে ২৬টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজপুত নেতারা। দলীয় নেতৃত্বের ধারণা রাজপুত ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়লে গুজরাটের পাশাপাশি রাজস্থানেও সংকটে পড়তে হবে দলকে। সেক্ষেত্রে ৪০০ আসন পারের লক্ষ্য সামনে রেখে রুপালাকে সরাতে দলকে বেশি ভাবনা-চিন্তা করতে হবে না বলেই মনে করেছেন রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
জামনগর জেলা বিজেপি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রবীণ সিং জাদেজা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি চিঠি লিখেছেন যাতে তিনি মোদীকে রাজকোট লোকসভা আসন থেকে দলীয় প্রার্থী রুপালার প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়েছে। তিনি রাজপুত সম্প্রদায়ের স্বার্থে মোদীকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।
আপত্তিকর বক্তব্যের জন্য রবিবার সুরাটে রাজপুত সম্প্রদায়ের মানুষজন কালো পতাকা দেখিয়ে প্রতিবাদ করেছিল। রাজকোট লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী রুপালার বিরুদ্ধে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভ করছে রাজপুত সম্প্রদায়।
রুপালার ক্ষমা চাওয়া এবং সিনিয়র রাজ্য নেতাদের হস্তক্ষেপ সত্ত্বেও, রাজপুত সম্প্রদায় রুপালাকে বিজেপি প্রার্থী সরানোর দাবিতে এবং তার মন্তব্যের জন্য তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে অনড়।