১৮ জানুয়ারি, ২০২১। পূর্ব মেদিনীপুরের তেখালির জনসভায় দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ৫ মার্চ, ২০২১, নিজের সেই কথা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় মমতা জানিয়ে দেন, আমি যে কথা দিই, সেটা রাখি। নন্দীগ্রামেই দাঁড়াচ্ছি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরই তাঁকে আক্রমণ করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় কোমর বেঁধে নেমে পড়লেন বিজেপি নেতারা। টুইটারে #PaliyeGelenMamata ট্রেন্ডিংও করেছে বিজেপি। এদিনই আবার পাঁশকুড়ার সভা থেকে মমতা আক্রমণ করলেন শুভেন্দুও।
এদিন বিকেলে বিজেপি নেতার হুঙ্কার, "ভবানীপুরে হারবেন ভয়ে মুখ্যমন্ত্রী পালিয়ে গিয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েছেন। ভবানীপুরে যে ভোটে হারতেন তার তিনগুণ ভোটে হারিয়ে ওঁকে কলকাতায় পাঠিয়ে দেব।" এদিন প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় মমতা বলেন, "আমি নন্দীগ্রাম থেকে লড়ছি। যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা করব। ভবানীপুরে দাঁড়াচ্ছি না। ভবানীপুরে দাঁড়াচ্ছেন শোভনবদেব চট্টোপাধ্যায়। ওটা আমার হাতের মুঠোর আসন।"
আরও বলেন, "এবারের নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ। মা-মাটি-মানুষের প্রতি আস্থা রাখার আবেদন করব। তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। এক নম্বরে রাজ্যকে তুলে নিয়ে যেতে পারব। আমফান, করোনাভাইরাসে ভাল কাজ হয়েছে। দু’এক জায়গায় সমস্যা হয়েছে। সেগুলো নিয়ে চেঁচামেচি হয়েছে। কিন্তু দেখেছেন আমি সব ঠিক করে দিয়েছি।"
নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়ার কথা ঘোষণা করতেই গত জানুয়ারি মাসেও আক্রমণে নামে বিজেপি। সব বিজেপি নেতারা টুইট করতে থাকেন মমতার উদ্দেশে। তাঁরা দাবি করেন, "মুখ্যমন্ত্রী যেন নন্দীগ্রামেই দাঁড়ান, দুটি আসনে যেন প্রার্থী না হন, তাহলে ধরে নিতে হবে তিনি হারের ভয়েই দুটি আসনে প্রার্থী হচ্ছেন।" এদিন মমতা জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি শুধুমাত্র নন্দীগ্রামেই প্রার্থী হচ্ছেন, ভবানীপুরে প্রার্থী হচ্ছেন তাঁর অনুগত সৈনিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তারপরেই বিজেপির নতুন হামলা, "ভবানীপুরে নিশ্চিত হারের ভয়ে নন্দীগ্রামে দাঁড়াচ্ছেন মমতা।"