শুধু ফোটো সমেত ভোটার স্লিপ নিয়ে বুথে গেলে ভোট দিতে দেওয়া হবে না। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন এ কথা জানিয়ে দিল। কমিশন জানিয়েছে, ওই স্লিপে কোনও নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেই, এ নথির অপব্যবহার করা খুবই সহজ।
পরিচয়ের জন্য মোট ১১টি নথি তালিকাভুক্ত করেছে দেশের নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে রয়েছে ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফোটোসমেত ব্যাঙ্কের পাসবই, প্যান কার্ড, মনরেগা জব কার্ড, স্বাস্থ্য বিমার স্মার্ট কার্ড, পেনশনের কাগজপত্র, বিধায়ক বা সাংসদের দেওয়া সরকারি পরিচয়পত্র, এবং আধার কার্ড।
এ বছর লোকসভা নির্বাচন। কয়েকদিনের মধ্যেই ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার কথা। তার অব্যবহিত আগেই এই নির্দেশনামা জারি করে দিল নির্বাচন কমিশন।
কমিশনের এই সিদ্ধান্তের কথা সমস্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফোটো সমেত ভোটার স্লিপ নিয়ে প্রধান সমস্যার জায়গা হল, ভোটার তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পর এই স্লিপ ছাপা হয়, এবং ভোটের খুব আগে বুথ ভিত্তিক আধিকারিকদের মাধ্যমে তা বিতরণ করা হয়। সে কারণেই একে একমাত্র পরিচয়পত্র হিসেবে ভোটের সময়ে ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি উঠেছে।
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "ফোটো ভোটার স্লিপে কোনও সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। একদম শুরুর দিকে যখন ভোটার (এপিক) কার্ড তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হয়নি, তখন এই ফোটো ভোটার স্লিপের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এখন ৯৯ শতাংশ বেশি ভোটারদের কাছে ভোটার কার্ড রয়েছে, এবং ৯৯ শতাংশের বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের কাছে আধার কার্ড রয়েছে।"