"তুষ্টির রাজনীতি" এবং "উত্তরাধিকার কর" নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণকে দ্বিগুণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মোদী বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের "মেরুকরণ" অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, "কংগ্রেস সংবিধান লঙ্ঘন করেছে এবং ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ প্রদানকারী আইন প্রণয়ন করেছে"। মোদী বলেন, "আমাদের সংবিধান স্পষ্টভাবে ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ নিষিদ্ধ করেছে কিন্তু কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার ওবিসিদের সংরক্ষণের জন্য বিজেপির পাস করা আইনটিকে বদলে দিয়েছে এবং তা মুসলিমদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য করেছে। সমস্ত মুসলমানকে ওবিসি হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে।"
প্রধানমন্ত্রী মোদী স্পষ্টভাবে বলেছেন যে উত্তরাধিকার কর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সমর্থন করা হচ্ছে, কিন্তু বিজেপি সরকার এটি কার্যকর হতে দেবে না। সাক্ষাত্কারে মোদী উত্তরাধিকার কর নিয়ে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং বলেছেন যে ভারতীয় জনতা পার্টির আদর্শ স্পষ্ট। তিনি বলেন, 'ভারতীয় জনতা পার্টি কী পরিকল্পনা করছে, তা আমাদের ইস্তেহারে উল্লেখ করা আছে। বিজেপির আদর্শ স্পষ্ট। আমরা আমাদের ইস্তেহার ও কাজ নিয়ে দেশের মানুষের দেশের সামনে যাই'।
ভারতের বিদেশ নীতি থেকে শুরু করে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতার এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির 'অপব্যবহার' নিয়ে বিরোধীদের উদ্বেগ, সব নিয়ে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে বলেন, কংগ্রেস "সারা দেশে এসসি, এসটি এবং ওবিসিদের দেওয়া সংরক্ষণ কমিয়ে সেই কোটা সংখ্যালঘুদের দিতে চায়"। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে কটাক্ষ করে মোদী যোগ করেছেন, "যে দলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এই দেশের সম্পদের উপর সংখ্যালঘুদের প্রথম অধিকার আছে সেই দলের কাছ থেকে আর কী আশা করা যায়?" প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "বিরোধীরা ক্ষমতা না পেয়ে বিশ্ব মঞ্চে ভারতের সম্মান হানি করার পথকে বেছে নিয়েছে"।
কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির "অপব্যবহার" নিয়ে বিরোধীদের দাবি নিয়ে মোদী বলেন, "কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির অধীনে দায়ের করা মামলার একটা "ছোট অংশ" রাজনীতিবিদদের সঙ্গে জড়িত"। "ইডির তদন্ত করা দুর্নীতির মামলাগুলির মধ্যে মাত্র ৩% রাজনীতিবিদদের সঙ্গে জড়িত। দুর্নীতিতে জড়িত ব্যক্তি একটি নির্দিষ্ট দলে যোগদান করার কারণে কোনও চলমান তদন্ত বন্ধ করা হয়নি" , বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইউনিফর্ম সিভিল কোড (ইউসিসি) বাস্তবায়নে বিজেপির প্রতিশ্রুতির ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি যোগ করেছেন, "বিশ্ব আজ দ্বন্দ্ব, হিংসায় ভরা, কিন্তু ভারতের শান্ত ভাবে পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করে উন্নয়নকে হাতিয়ার করে এগিয়ে চলেছে। বিশ্বের যে কোনো দেশের কাছে আজ ভারতের ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ।"