প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর প্রতি এক প্রশ্ন ছুড়েছেন। তিনি জানতে চান, কেন তিনি নির্বাচনী সভায় আদানি-আম্বানির নাম নিচ্ছেন না রাহুল?
নির্বাচনে সামনে রেখে আদানি-আম্বানি ইস্যুতে কেন নীরব রাহুল? প্রশ্ন ছুঁড়লেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আবারও মিশন সাউথের দিকে নজর দিয়েছেন। বুধবার তেলেঙ্গানায় তিনটি জনসভা করেছেন তিনি।লোকসভা নির্বাচনের আগে সংসদ থেকে শুরু করে রাজনীতির আঙিনা বারেবারে মোদীকে আদানি-আম্বানি ইস্যুতে বিদ্ধ করেছে বিরোধী জোট।
আদানির সঙ্গে মোদীর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রাহুল গান্ধী। আদানির বিরুদ্ধে হিন্ডেন বার্গ রিপোর্টকে কেন্দ্র করে জেপিসি গঠনেরও দাবি জানানো হয় কংগ্রেসের তরফে। যার জেরে উত্তাল হয় সাংসদ।
এমনকী আদানি ইস্যু মোদীকে পরিকল্পনা করে আক্রমণ কাণ্ডে ক্যাশ ফর কোয়েরি ইস্যুতে বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্রর পাশেও দাঁড়িয়েছিল বিরোধী দলগুলি।
কিন্তু নির্বাচনী প্রচারে হঠাৎ করে মোদীর বিরুদ্ধে আক্রমণে আদানি-আম্বানি ইস্যু নিয়ে বিশেষ ঝোড়ো ইনিংস হাঁকাতে দেখা যাচ্ছে না কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। এবার সেই ইস্যুতে রাহুলকে খোঁচা দিলেন মোদী। সেই সঙ্গে আদানির কালো টাকা প্রসঙ্গে বন্দুকের ট্রিগার রাহুলের কপালেই রাখলেন মোদী।
মোদী এদিন তেলেঙ্গানার নির্বাচনী সমাবেশ থেকে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করে বলেন, “কংগ্রেস শাহজাদা, গত পাঁচ বছর একটাই নাম জপে যাচ্ছেন। প্রথমে তিনি পাঁচজন শিল্পপতির কথা বলেছেন এবং তারপর থেকে আম্বানি-আদানি। কিন্তু নির্বাচন ঘোষণার পর থেকে রাহুলের মুখে দুই শিল্পপতির নাম উধাও। আমি তেলেঙ্গানার জনসাধারণকে জিজ্ঞাসা করতে চাই, শাহজাদাদের প্রকাশ্যে বলা উচিত - কংগ্রেস আম্বানি-আদানির কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছে? কত কালো টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে? নগদ ভরা টেম্পো কি কংগ্রেসের কাছে পৌঁছেছে? কি চুক্তি হয়েছে তাদের মধ্যে? রাতারাতি আম্বানি-আদানিকে গালি দেওয়া বন্ধ করলেন কেন? ”।
উল্লেখ্য তেলঙ্গানায় আগামী ১৩ই মে একইসঙ্গে বিধানসভা ও লোকসভা ভোট । তার আগে এটা মোদীর তৃতীয় রাজ্য সফর। আর এদিনই আদানি ইস্যুতে রাহুলকে ছক্কা হাঁকালেন মোদী।