২৪-এর নির্বাচনের পর কংগ্রেস 'রাজপুত্রের' জন্য খুঁজতে হবে আরও একটি নিরাপদ আসন’, রাহুলকে চরম কটাক্ষ মোদীর।
আমেঠি থেকে যেভাবে কংগ্রেসের ‘সাহাবজাদা’কে ১৯-এর ভোটে হারতে হয়েছিল এবার ওয়েনাডেতেও একই অবস্থা হবে রাহুল গান্ধীর। এভাবেই প্রথম দফার নির্বাচনের পরের দিন মহারাষ্ট্রের নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেস নেতাকে আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিন নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে রাহুল গান্ধীকে তীব্র আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, 'কংগ্রেসের রাজপুত্র'কে যেমনভাবে আমেঠিতে হারের মুখে পড়তে হয়েছিল গত নির্বাচনে, ঠিক একই ভাবে এবারের চলতি নির্বাচনে ওয়ানাডে আসন থেকেও হারের মুখে পড়তে হবে কংগ্রেসের ‘সাহাবজাদা’কে।
উল্লেখ্য, রাহুল গান্ধী এবারও কেরলের ওয়েনাড আসন থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি এর আগে কংগ্রেসের ঐতিহ্যবাহী আসন আমেঠি থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং ২০১৯ সালে এই আসন থেকে হেরেছিলেন। স্মৃতি ইরানি এই আসন থেকে জিতেছিলেন এবং এবার বিজেপি আবারও স্মৃতি ইরানিকে টিকিট দিয়েছে। যদিও আমেঠিতে কংগ্রেস এখনও প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
মহারাষ্ট্রের নান্দেড়ের একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, গতকাল দেশে প্রথম দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে এবং যারা ভোট দিয়েছেন, বিশেষ করে প্রথমবারের ভোটারদের আমি অভিনন্দন জানাই। তিনি বলেন, ভোটের পর বুথ ফেরত সমীক্ষায় উঠে এসেছে ফের তৃতীয় বার উঠতে চলেছে গেরুয়া ঝড়।
বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকে লক্ষ্য করে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে ভোটাররাও দেখছেন যে কীভাবে ইন্ডিয়া জোটের নেতারা তাদের দুর্নীতিকে আড়াল করতে নিজেদের স্বার্থে একত্রিত হয়েছে। তাই প্রথম দফায় ভোটাররা এই জোটকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করেছেন বলে মিলেছে ইঙ্গিত। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন ইণ্ডিয়া জোট যাই দাবি করুক না কেন, সত্যি হল যে কংগ্রেস নেতারা নির্বাচনের ঘোষণার আগেই পরাজয় মেনে নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী এদিন সনিয়া গান্ধীকে কটাক্ষ করেছেন এবং বলেছেন যে কিছু নেতা, যারা লোকসভায় ধারাবাহিকভাবে জয়লাভ করতেন, তারা এবার ভয়ে লোকসভার ভোটে অংশ না নিয়ে রাজ্যসভায় গিয়েছেন। সনিয়া গান্ধী এবার রায়বেরেলি আসন থেকে নির্বাচনে লড়ছেন না। জীবনে প্রথম বার রাজ্যসভার ভোটে দাঁড়িয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী রাজ্যসভায় পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে কংগ্রেস কয়েক দশক ধরে মহারাষ্ট্র এবং বিশেষ করে বিদর্ভ এবং মারাঠওয়াড়ার উন্নয়নকে আটকে রেকেছিল এবং কংগ্রেসের এই মনোভাবের কারণে এখানকার কৃষকরা অনেক পিছিয়ে পড়েছে। লাখ লাখ যুবক কাজের সন্ধানে বিদেশে পাড়ি দিয়েছেন।