শেষ মুহূর্তে কোন পরিবর্তন না ঘটলে আগামি ৩ এপ্রিল পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবং সেই প্রচার শুরু হতে চলেছে ব্রিগেড প্যারেড ময়দান থেকে। বিজেপি-র দলীয় সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, আজ আলিপুরে ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে আয়োজিত দলীয় সভায় বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজেই কর্মীদের এই খবর জানান। শুধু মোদীই নন, বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ-ও এপ্রিল মাসে রাজ্যে অন্তত চারটি জনসভা করবেন বলে সভায় ঘোষণা করেন দিলীপ। তবে অমিত শাহের সভাগুলি কোথায় কোথায় হবে, তা এখনও নির্দিষ্টভাবে ঠিক হয়নি।
উল্লেখ্য, ২৩ জানুয়ারি নেতাজির জন্ম জয়ন্তীতে ব্রিগেডে মোদী সভা করবেন বলে গত ডিসেম্বরে ঘোষণা করেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু সেই সভা ঘিরে নানা জটিলতা তৈরি হয়। শেষ পর্যন্ত ২৩ জানুয়ারি ব্রিগেড-সমাবেশ করতে পারেনি বিজেপি। শহরে আসা হয়নি মোদীরও।
আরও পড়ুন: West Bengal Lok Sabha Elections 2019 LIVE Updates: এপ্রিলের শুরুতে ব্রিগেডে মোদী?
সব ঠিকঠাক থাকলে এবার মোদীর ব্রিগেড-সভার দিন পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। রাজ্যে ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হতে চলেছে সাত দফার লোকসভা নির্বাচন। তার ঠিক এক সপ্তাহ আগে রাজ্যে বিজেপি-র পালে হাওয়া টানতে ময়দানে অবতীর্ণ হতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী স্বয়ং। বিজেপি নেতৃত্ব বেশ কিছুদিন ধরেই বলে আসছেন, এবারের ভোটে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে তাঁদের টার্গেট ২৩টি। টার্গেট পূরণ হবে কিনা সেটা সময় বলবে, তবে মোদীর ব্রিগেড-সভার ইতিবাচক প্রভাব ভোটবাক্সে পড়বে বলেই আশায় বুক বাঁধছে বঙ্গের গেরুয়া শিবির।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই বঙ্গ বিজেপি-র অন্দরে অসন্তোষ বেড়ে চলেছে। মাত্র তিন সপ্তাহ আগে দলে যোগ দেওয়া নিশীথ প্রামাণিকের নাম কোচবিহারে প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার তুলকালাম বাঁধে জেলার রাজ্য দফতরে। জেলা সভানেত্রীকে ঘেরাও করা থেকে শুরু করে দলীয় দফতরে ভাঙচুর, কিছুই বাদ যায়নি। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই প্রার্থী না হতে পারার ক্ষোভে শুক্রবার রাজ্য সহ-সভাপতির পদ ছেড়ে দেন দীর্ঘদিনের বিজেপি নেতা রাজকমল পাঠক।
'ঘরের ছেলে' বনাম 'বহিরাগত' বিতর্ক দানা বাধছে আরও কয়েকটি কেন্দ্র ঘিরে। বসিরহাটে পোস্টার পড়েছে দলীয় প্রার্থী সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে। স্থানীয় কর্মীদের ক্ষোভ বাড়ছে ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর বা বনগাঁ কেন্দ্র ঘিরেও। বনগাঁয় পোস্টার পড়েছে, 'ঘরের ছেলে না হলে/ ভোট পড়বে অন্য ফুলে'। ইঙ্গিত স্পষ্ট, বিক্ষুব্ধ কর্মীরা প্রয়োজনে পদ্মফুলের বদলে ঘাসফুলও বেছে নিতে পারেন প্রার্থী অপছন্দ হলে।