তৃতীয় তথা শেষ দফার ভোটগ্রহণ চলছে বিহারে। সকাল ৭টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে আজ ১৯ জেলার ৭৮টি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। এই পর্বে ১,২০৪ প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারণ করছেন ২ কোটি ৩৪ লক্ষ ভোটার। সকাল ১১টা পর্যন্ত ভোটদানের হার ১৯.৭৭ শতাংশ। তৃতীয় পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য আসনগুলো হল, সীমাঞ্চলের আরারিয়া, কাটিহার, পূর্ণিয়া ও কিষাণগঞ্জ। কোশির সুপাউল, মেধেপুরা। মিথিলার দ্বারভাঙা, মধুপুরী। এছাড়াও নজরে রয়েছে রক্সৌল, গাইঘাট, হারলাখি, চিরাইয়া, জালে ও বেনিয়াপট্টি আসন।
এই পর্বে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর সীমাঞ্চল কোশি। এনডিএ এবং মহাজোটের পাশাপাশি জোর লড়াইয়ে রয়েছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি-র এআইএমআইএম। ফলে লড়াই এখানে ত্রিমুখী। সীমাঞ্চলের ২৪টি প্রভাবিত আসনের মধ্যে ১৪টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে এআইএমআইএম।
বিবার নির্বাচনের তৃতীয় দিনের সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টুইট করে রাজ্যের ভোটারদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। টুইটে তিনি লেখেন, 'আজ বিহার বিধানসভা নির্বাচনের তৃতীয় তথা শেষ দফা। রাজ্যের সব ভোটারের কাছে অনুরোধ যে আপনারা সবাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে ভোট দিন। নতুন রেকর্ড গড়ুন। গণতন্ত্রকে মজবুত করুন। তবে মাস্ক পরতে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভুলবেন না।'
बिहार विधानसभा चुनावों में आज तीसरे और आखिरी चरण का मतदान है। सभी मतदाताओं से मेरी विनती है कि वे अधिक से अधिक संख्या में लोकतंत्र के इस पावन पर्व में भागीदार बनें और वोटिंग का नया रिकॉर्ड बनाएं। और हां, मास्क पहनने और सोशल डिस्टेंसिंग का ध्यान भी अवश्य रखें।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 7, 2020
তৃতীয় দফায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন বিহারিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে কংগ্রেসের টিকিটে লড়ছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী শরদ যাদবের মেয়ে সুভাষিনী শরদ যাদব। মুজফফরনগর থেকে লড়াই করছেন বিহার বিধানসভার স্পিকার তথা জনতা দল ইউনাউটেড নেতা বিজয়কুমার চৌধুরি এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুরেশ কুমার শর্মা।
শেষ পর্বের নির্বাচনে আগে একাধিক জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। প্রচারে বারংবার নীতীশ কুমারকেই ফের নির্বাচিত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী ততা জেডিইউ প্রদান পূর্ণিযার জনসভা দাবি করেছেন, এটাই তাঁর শেষ নির্বাচন। জানান, 'শেষ বাল যার সব ভাল'। যদিও এর আগেও একই দাবি নীতীশ করেছিলেন বলে দাবি রাজনৈতিক বশ্লেষকদের। কংগ্রেস নেতা পি চিদাম্বরমের দাবি, 'হারবে জেনেই ভোটে না লড়ার সিদ্ধান্ত' জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
গত ৩ নভেম্বর বিহারে দ্বিতীয় দফায় ভোট হয়েছিল। ভোট পড়েছিল ৫৫.৭০ শতাংশ। ৯৪টি আসনে ভোট হয়েছিল ওই দফায়। ২৭ অক্টোবর প্রথম দফায় ভোট গ্রহণ হয়।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন