Advertisment

ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন পশ্চিমবঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে এবং ভোট গণনার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
রাজ্যে বহাল থাকল ২০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী

রাজ্যে বহাল থাকল ২০০ কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী

সপ্তদশ লোকসভার ভোটপর্ব মিটতেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়াতে থাকে ভোট পরবর্তী হিংসা। পশ্চিমবঙ্গের অশান্ত পরিবেশের মোকাবিলায় এবার কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানান, "ভোট পরবর্তী হিংসা রুখতে এবং ভোট গণনার কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ২০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োগ করা হবে বাংলায়, বাকি ৫১০ কোম্পানিকে তুলে নেওয়া হবে। এই বাহিনী রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকবে।"

Advertisment

দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাতেই সবচেয়ে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সাগর বিধানসভা কেন্দ্রে দুই বিজেপি প্রার্থী চন্দন মন্ডল এবং নান্টু বেরাকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তাঁরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাসপাতালের এক সূত্র জানিয়েছে, বিজেপির এই দুই কর্মীর শরীরের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, কিন্তু এখন তাঁদের অবস্থা স্থিতিশীল। অভিযোগ করা হয়, রবিবার রাতে ভোটপর্ব শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের তরফ থেকেই হামলা চালানো হয় তাঁদের উপর। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে বলে পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: উনিশের রায়ের আগে একঝলকে বাংলার ৪২ কেন্দ্র

এদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসার চিত্র ধরা পড়েছে দমদম লোকসভা কেন্দ্রেও। অভিযোগ, সেখানে ৬৪ বছরের এক বৃদ্ধকে হত্যার চেষ্টা করা হয়, কারণ বৃদ্ধের ছেলে বিজেপির কর্মী। ঘটনায় তিনিও আহত হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য ছিল, "আমাকেই আক্রমণ করতে এসেছিল কিন্তু আমাকে বাড়িতে না পেয়ে ওরা আমার বাবার উপর আক্রমণ করে।" পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা সৈকত দাশের নামে থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন আহতের পরিবার। সৈকত দাশ অবশ্য গোটা ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, "আমরা হিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করি না। ওঁর বাবা একজন বৃদ্ধ মানুষ, টিএমসি কর্মীরা কেন তাঁকে আক্রমণ করতে যাবেন? নিজেরদের মধ্যে কিছু পারিবারিক সমস্যা হয়েছিল, তার দায় আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।"

আরও পড়ুন: উপনির্বাচন শেষ হতেই ভাটপাড়ায় জারি ১৪৪ ধারা

অপরদিকে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার জয়নগর কেন্দ্রের গোসাবা এলাকায় তিন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাংচুর করে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তা এখনও শনাক্ত করা যায়নি। পাশাপাশি, উত্তর কলকাতার মানিকতলা এলাকায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ভাঙচুর চলে তৃণমূল কার্যালয়ে। তৃণমূলের নেতা তথা রাজ্যের উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী সাধন পান্ডে জানান, "তাঁরা একই দলের সমর্থক, আমি বলেছিলাম তাঁদের মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে কিন্তু কেন এরকম করলেন জানি না। বুথের কর্মীরা নিজেদের মধ্যে স্বার্থের সংঘাতেই এসব কাজ করেছে।"

একইভাবে ভোট পরবর্তীতে বিজেপি-তৃণমূল কোন্দলের ছবি ধরা পড়েছে হাবরার কুলতলা এবং ডায়মন্ড হারবার এলাকাতেও।

Read the full story in English

election commission General Election 2019 CRPF
Advertisment