প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা, রাহুলকে ভোটের আবেদন…! রায়বেরেলিতে জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি লোকসভা আসনে প্রচার জোরদার করেছে কংগ্রেস। প্রথমবার এই আসন থেকে রাহুল গান্ধীকে প্রার্থী করেছে কংগ্রেস। রাহুল গান্ধী এখনও পর্যন্ত চারটি লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এর মধ্যে তিনবার আমেঠি থেকে জিতে সাংসদ হয়েছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, রাহুল গান্ধী উত্তরপ্রদেশের আমেঠি এবং কেরলের ওয়ানাড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আমেঠি থেকে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গেলেও রাহুল ওয়ানাড থেকে জিতে সাংসদ হন।
রাহুল গান্ধী পঞ্চম লোকসভা নির্বাচনে কেরলের ওয়ানাড আসনের সঙ্গে রায়বেরেলি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রায়বেরেলি আসনটি গান্ধী পরিবারের ঐতিহ্যবাহী আসন। ১৯৯৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে এই আসনে জয়ী হয়ে আসছেন সনিয়া গান্ধী। ফেব্রুয়ারিতে লোকসভা নির্বাচনের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এরপর এখান থেকে প্রার্থী হন রাহুল। রায়বেরেলি আসন থেকে রাহুল গান্ধীর জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছেন প্রিয়াঙ্কাও। তিনি সরাসরি বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশানা করেছেন।
রায়বেরেলিতে নির্বাচনী জনসভায় দেশের দুটি বড় সমস্যার কথা উল্লেখ করেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। তিনি বলেন, মুদ্রাস্ফীতি ও বেকারত্ব আজ দেশের সবচেয়ে বড় দুটি সমস্যা। এর পাশাপাশি জিএসটি নিয়েও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে। তিনি আরও অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধীকে পরাজিত করতে বিজেপি তার সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে, কিন্তু রাহুল গান্ধীও লড়াইয়ের ময়দান থেলে পালিয়ে যাওয়ার পাত্র নন। তিনি জনগণকে ন্যায়বিচার প্রদানে অবিচল ছিলেন আছেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন।
বিজেপিকে নিশানা করে প্রিয়াঙ্কা রাহুলের 'ভারত জোড়ো যাত্রা' এবং 'ভারত জোড় ন্যায় যাত্রা'র উদাহরণ টেনে বলেন, দেশের রাজনীতির আজ ভুল পথে চলছে। পাশাপাশি তিনি রায়বেরেলি- আমেঠির সঙ্গে গান্ধী পরিবারের সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেছেন। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, কৃষক আন্দোলনের সময় নেহেরুজিকে এখানে গ্রেফতার করা হয়েছিল। বিজেপিকে লক্ষ্য করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন মোদী সরকার বেকারত্ব, মুদ্রাস্ফীতির মতো দেশের আসল সমস্যা নিয়ে কোন কথা বলেন না। তিনি এও ঘোষণা করেন যে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে যুবকদের কর্মসংস্থানে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
রায়বেরেলির সমাবেশে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মোদীকে নিশানা করে বলেন, বিজেপি তথা মোদী সরকার দেশের সংবিধান পরিবর্তনের কথা বলছে। যখনই তা সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদী ভয় পেয়ে বলেছেন, বিজেপি সংবিধানে কোন বদল আনবে না।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য রায়বেরেলিতে ক্যাম্প করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কর্মীদের সঙ্গে আলোচনার সময় তিনি বলেছিলেন যে রায়বেরেলি সংবিধান ও গণতন্ত্র বাঁচানোর লড়াইয়ে বলিষ্ঠ অবদান রাখবে। রায়বেরেলির মানুষ আমাদের একটি ঐতিহাসিক দায়িত্ব দিয়েছে। সেই থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আজ আমরা সারা দেশে ন্যায়ের জন্য লড়াই করছি। তিনি রাহুল গান্ধীকে বিপুল ভোটে জেতানোর লক্ষ্যে পুরোদমে মাঠে নেমেছেন।