গান্ধী-নেহরু পরিবারের আরেক সদস্য প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিরোধিতায় সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রিয়াঙ্কার সক্রিয় রাজনীতিতে যোগদানের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোদী এ নিয়ে মুখ খুলে বললেন, এ সবই কংগ্রেসের পরিবারভিত্তিক রাজনীতির অঙ্গ।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি-র বুথস্তরের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি কখনওই একজন ব্যক্তি বা একটি পরিবার কী ভাবছে তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি চলে গণতন্ত্রের ভিত্তিতে। বিজেপির শিরায় শিরায় গণতন্ত্র বইছে, সেজন্যই দেশের মানুষ দলের সঙ্গে একাত্ম বোধ করেন।
প্রিয়াঙ্কা প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য. আমাদের দলে সিদ্ধান্তগ্রহণ করা হয় দলীয় কর্মীরা কী ভাবছেন, তার ওপর ভিত্তি করে।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পূর্ব উত্তরপ্রদেশে এআইসিসি-র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিযুক্ত হওয়ার পর কংগ্রেসের উদ্দেশে আক্রমণ শাণিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমনও। সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন এ সিদ্ধান্তের অর্থ পরিবারভিত্তিক রাজনীতির দিকে আরও অগ্রসর হওয়া। এই নিয়োগের সিদ্ধান্ত একটি পরিবারের ওপর নির্ভর করে নেওয়া হয়েছে।
প্রিয়াঙ্কার এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক পদে নিয়োগকে উড়িয়ে দিয়ে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি বলেছে, তিনি বিজেপি-র দিকে এক শতাংশ চ্যালেঞ্জও ছুড়ে দিতে পারবেন না। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিং বলেছেন, প্রিয়াঙ্কার উত্থানের অর্থ রাহুল গান্ধীর পতন।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর রাজনীতিতে যোগদান নিয়ে জল্পনা চলছিল বেশ কয়েক বছর ধরে। উত্তর প্রদেশ পূর্ব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তাঁর নিযুক্তি বহু বছরের জল্পনার অবসান ঘটাল।
পূর্ব উত্তরপ্রদেশে মোট ৪০টি লোকসভা আসন রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কেন্দ্র বারাণসী এবং উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথের নিজের মাঠ গোরখপুর।