অবশেষে জল্পনার অবসান, নীরবতা ভেঙ্গে মঙ্গলবার সব প্রশ্নের উত্তর দিলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ভারপ্রাপ্ত প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভাদরা। তিনি জানান, পূর্ব উত্তরপ্রদেশের ৪১টি আসনের দায়িত্ব তাঁর কাঁধে। কোনও একটি কেন্দ্রের উপর জোর দেওয়া মানে বাকি প্রার্থীদের মনোবল ভেঙ্গে যাওয়া, যা তাঁর কাম্য নয়। ইন্দিরা পৌত্রী আরও বলেন যে, দলের বর্ষীয়ান নেতা এবং উত্তরপ্রদেশের সতীর্থ নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই এই সিদ্ধান্ত নেন। তাঁর এই বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট তিনি আগামীতে রাজনীতির লড়াই মঞ্চে অনন্য যোদ্ধা হতে চলছেন।
অনুমান করা হচ্ছিল, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সবচেয়ে হেভিওয়েট লড়াই হতে চলেছে বারাণসী থেকে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। এমন সময়ে সব আশায় কার্যত জল ঢেলে দিয়ে বারাণসী থেকে মোদীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে অজয় রাই-এর নাম ঘোষণা করেছিল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রসঙ্গত, গত লোকসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়ালের কাছে ৭৫ হাজার ভোটে পরাজিত হন অজয় রাই।
আরও পড়ুন: বিনা প্রস্তুতিতে কেন প্রিয়াঙ্কাকে যুদ্ধে নামানো?
বিজেপি অবশ্য অজয় রাইয়ের বারাণসীতে প্রার্থী হওয়া নিয়ে কংগ্রেসের 'পরাজয় ভীতি'কেই সামনে রাখছে। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, ভয় পেয়েই ময়দান ছাড়লেন প্রিয়াঙ্কা, এবং তাঁকে সামনে রেখে শেষমেশ দলের এই নীতি পরিবর্তনে হতাশ হয়েছেন অনেকেই। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের অন্দরে যে প্রচলিত একটি কাহিনী আছে যে 'প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভোটে লড়লে একটা প্রার্থক্য গড়ে দিতে পারতেন' তা সম্পূর্ণ অর্থেই একটি ভ্রান্ত ধারণা।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটের আগেই কংগ্রেস তাঁদের দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে নির্বাচন করে। বর্তমানে তাঁর কাছে প্রার্থীপদ অপেক্ষা উত্তরপ্রদেশের দায়িত্বভার যে বড়, তা বুঝিয়ে দিয়ে নয়া রণকৌশল তৈরি করলেন তিনি।
Read the full story in English