প্রায় দিন পনেরো আগেই উত্তরপ্রদেশ পূর্ব এবং পশ্চিমের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী এবং জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নাম। এতদিন কেটে গেলেও উত্তরপ্রদেশে যাননি কেউই। তবে কী অন্য কোনও পরিকল্পনা রয়েছে কংগ্রেসের? দলের কর্মীদের মধ্যেই দেখা দিয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।
জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে সোনিয়া কন্যার রাজনীতিতে প্রবেশের খবর বেশ অপ্রত্যাশিতই ছিল কংগ্রেস সমর্থকদের কাছে। সেই চমকের প্রাথমিক ঘোর কেটেছে মানুষের। প্রিয়াঙ্কা এবং সিন্ধিয়ার দলীয় দায় দায়িত্ব এবং নির্বাচনী প্রচারমূলক কর্মসূচী নিয়ে জানতে চায় দলের কর্মীরা। কিন্তু সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা মিটছে না এখনও।
গত মাসে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের ১০টি জনসভা নিয়ে বৈঠক করেছিলেন। ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই শুরু হওয়ার কথা ছিল জনসভার।
আরও পড়ুন, “তৃণমূল আমাকে ভয় পেয়ে আটকেছে”
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি প্রধান রাজ বব্বর বললেন, "আমরা সবাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জন্য অপেক্ষা করে আছি, সবাই মিলে একসঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, এর পরের পদক্ষেপ কী হবে"। ফতেপুর সিক্রি থেকে ভোটে দাঁড়ানোর কথা রাজ বব্বরের।
লখনউ-এর এক কংগ্রেস নেতার কথায়, "আমরা এখনও জানিনা কবে জনসভা শুরু হবে, আমাদের কী করনীয়, তাও জানিনা। এর আগে ১০ জানুয়ারি লখনউ-তে কংগ্রেসের জনসভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দিনই নির্বাচনী প্রচার শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাস্তবে তা হল না, এখন আমরা সবাই প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর জন্য বসে আছি, উনি এসে যদি আমাদের কোন পথে হাঁটতে হবে বলে দেন"।
"কারোর ব্যক্তিগত সমস্যা থাকলে, সেটাকে সম্মান করা উচিত। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজনীতিতে আসার খবরেই অনেকটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন কর্মীরা", বলেছেন অজয় কুমার লাল্লু।
পূর্ব এবং পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের দু'জন আঞ্চলিক প্রেসিডেন্ট বাছাইয়ের কথা ছিল দলের।