সপরিবার মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন কংগ্রস সভাপতি, এই ছবি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে। পরিবারকে পাশে নিয়ে মনোনয়ন জমা দেওযায় রাজনৈতিক আক্রমণ পাল্টা আক্রমণও হয়েছে বিস্তর। তবে এবার সেই মনোনয়ন নিয়েই সমস্যার পড়লেন রাহুল গান্ধী। কারণ, রাগার মনোনয়ন পত্রের বৈধতা যাচাই করার সময় স্থগিতাদেশ জারি করেছেন রিটার্নিং অফিসার মনোহর মিশ্র। কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির নাগরিকত্ব ও শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে অভিযোগ ওঠায় তাঁর মনোনয়ন পেশ আপাতত সাময়িকভাবে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
আরও পড়ুন Lok Sabha Election 2019: মধ্যবিত্তের ওপর বোঝা না বাড়িয়েই সত্যি হবে ন্যূনতম আয়ের স্বপ্ন?
রিটার্নিং অফিসারের নথিতে লেখা হয়েছে, রাহুল গান্ধীর নাম যাচাই করার সময় অসঙ্গতির অভিযোগ করেন আফজল ওয়ারিস, ধ্রুব লাল মনোহর, সুরেশ কুমার শুক্ল এবং সুরেশ চন্দ্র। এঁদের মধ্যে নয়াদিল্লির সুরেশ চন্দ্র ছাড়া প্রত্যেকেই আমেঠীর বাসিন্দা। পাশাপাশি বলা হয়েছে, রাহুল গান্ধীর আইনজীবী রাহুল কৌশিক অভিযোগের মোকাবিলা করার জন্য কিছু সময় চেয়ে নিয়েছেন। পরবর্তী শুনানি হতে চলেছে ২২ শে এপ্রিল।
নাম নিয়ে বিভ্রান্তির পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতার উপরেও প্রশ্ন উঠেছে। বলা হচ্ছে, নিজের এফিডেভিটে শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই ভুঁয়ো নথি পেশ করেছিলেন তিনি। সেই অভিযোগ অনুযায়ী, ১৯৯৪ সালে ফ্লোরিডার রোলিংস কলেজ থেকে কলা বিভাগে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। তবে ২০০৪ সালে পেশ করা এফিডেভিটে সেই বিষয় উল্লেখ করেননি তিনি। রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন, তিনি ১৯৯৫ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজ থেকে এম.ফিল উত্তীর্ণ হন। তবে অভিযোগ, ১৯৯৫ নয়, ২০০৪ সালে সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি অর্জন করেন রাগা।
নিজের পরিচয় নিয়েও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন সোনিয়া-পুত্র। জানা যাচ্ছে, কেমব্রিজের ডিগ্রি অনুযায়ী, রাহুল গান্ধীর নাম রাহুল ভিঞ্চি। এ ক্ষেত্রে তাঁর নাগরিকত্ব নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন আমেঠীর নির্দল প্রার্থী ধ্রুব লাল মনোহর। মনোহরের অভিযোগ জানি, ২০০৪ সালে এক ব্রিটিশ সংবাদপত্রে রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন ব্রিটেনের ব্ল্যাক অপস কোম্পানির শেয়ার রয়েছে তাঁর কাছে। কোম্পানির নথি অনুযায়ী, রাহুল গান্ধী নিজেকে ব্রিটিশ নাগরিক বলে পরিচয় দিয়ছিলেন। তাঁর ঠিকানাও ছিল ব্রিটিশ। এসব বিষয়েই রীতিমতো জল ঘোলা হতে শুরু করেছে।
অন্য অভিযোগকারী, আফজল ওয়ারশি দিল্লি থেকে রাহুল গান্ধীর স্ট্যাম্প পেপার কেনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর বক্তব্য, আমেঠীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে স্ট্যাম্প পেপার না কেনায় নথি বাতিল করা হোক। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস-কে দেওয়া বিবৃতিতে কংগ্রেসের এক বিধান পারিষদ দীপক সিং জানান, "ওঁদের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। আগের লোকসভা নির্বাচনেও এমন অভিযোগ তোলা হয়েছিল। প্রত্যেকবারই ওঁদের অভিযোগ খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। কারণ, অভিযোগের কোনও ভিত্তিই নেই!"