১৭ তম সাধারণ নির্বাচনে দেশের জনতা রায় দিয়েছে মোদী সরকারের পক্ষে। কমিশনের তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার আগেই বৃহস্পতিবার দুপুর-বিকেল থেকে ভোটগণনার ফলফল স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১০০ -এর কোঠা পেরোতে পারেনি কংগ্রেস তথা ইউপিএ। নিজের ঘরের ময়দানেও হেরে গেলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। বিজেপি প্রতিদ্বন্দী স্মৃতি ইরানির চেয়ে ২৮ হাজার ভোটে পিছিয়ে পড়ার খবর আসতেই ভোটগণনার অন্তিম পর্বে এসে হার স্বীকার করলেন রাহুল। প্রসঙ্গত, চুড়ান্ত ফলাফল অনুযায়ী ৩৫০০০ ভোটে হেরে গিয়েছেন সনিয়া পুত্র।
২৩ মে সন্ধের সাংবাদিক বৈঠকে রাহুলকে বলতে শোনা গেল, "জনতা আজ স্পষ্ট ভাবে রায় জানিয়ে দিয়েছেন। আমাদের দলের কর্মীরা যথাসাধ্য লড়াই করেছেন। কিন্তু দেশের মানুষ নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছে, এটাই সত্যি। ভারতীয় নাগরিক হিসেবে দেশের মানুষের সিদ্ধান্তকে আমি শ্রদ্ধা করি"।
আরও পড়ুন, কেন্দ্রে চওড়া হল চৌকিদারের ছাতি, আমেঠিতে হারের মুখে রাহুল
সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা কংগ্রেস কর্মী এবং সমরথথকদের প্রতি সনিয়া পুত্রের বার্তা, "আপনারা ভয় পাবেন না। আমরা একজোট হয়ে লড়ব"।
দু'দশক ধরে কংগ্রেসের দুর্গ থাকা আমেঠিতে নিজের সম্ভাব্য হার মেনে নিয়ে রাহুল বললেন, "এটা গণতন্ত্র। আমেঠির মানুষ স্মৃতি ইরানির ওপর ভরসা রেখেছেন। আমি সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। যে ভালোবাসা আমেঠির মানুষ স্মৃতি জিকে দিয়েছেন। আমি চাইব, উনিও যেন ততটাই ভালোবাসেন আমেঠিবাসীকে"।
প্রসঙ্গত, কেরালার ওয়েনাড় থেকে আরেকটি আসনে লড়ছিলেন রাহুল। ৪ লক্ষ ভোটে ওয়েনাড় থেকে জয়ী হয়েছেন রাহুল। এই প্রথম দক্ষিণ ভারতে কংগ্রেস প্রার্থী হয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের কোনও সদস্য।