দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে আবগারি দুর্নীতি কাণ্ডে গ্রেফতার করেছে ইডি। সেই গ্রেফতারির প্রতিবাদে রবিবার পথে নেমেছে ইন্ডিয়া জোট।
রাজধানীর রাজপথে মেগা ব়্যালির ডাক দিয়েছে বিজেপি-বিরোধী দলের জোট। পাশাপাশি, লোকসভা নির্বাচনের আগে ইন্ডিয়া জোটের শক্তি প্রদর্শনেরও মিছিল বলা যেতে পারে এই কর্মসূচিকে।
বিরোধী দলগুলির সব বড় নেতা এই মিছিলে অংশ নিয়েছে। লোকতন্ত্র বাঁচাও মহামিছিলে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে ম্যাচ 'ফিক্সিং-য়ের' করার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছেন, 'ইতিমধ্যেই ২ জন প্লেয়ারকে জেলবন্দী করা হয়েছে'।
কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী বিজেপির উপর "ম্যাচ ফিক্সিং" অভিযোগ এনে আক্রমণ করে বলেছেন, 'প্রধানমন্ত্রী মোদী ৪০০ আসন পারের জন্য "আম্পায়ার" বেছে নিয়েছেন'।
রাহুল এদিন নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনারদের সরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ আনেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, 'ভোটের আগে দুই মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে পাঠানো হয়েছে'। একই সঙ্গে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আনা আয়কর নোটিসের প্রসঙ্গে রাহুল বলেন, 'আমাদের অ্যাকাউন্টগুলি সিল করা হয়েছে। বারে বারে আইটি নোটিস পাঠানো হচ্ছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন কেন এই পদক্ষেপ - নির্বাচনের ছয় মাস আগে না করে কেন ঠিক নির্বাচনের মুখেই করা হল"।
রাহুল এদিন আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে বলেন, 'বিশ্বের এমন কোন শক্তি নেই যা ভারতের মানুষের কণ্ঠকে দমন করতে পারে'। রাহুল এদিন বলেন, 'আমাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলি ফ্রিজ করা হয়েছে। আমাদের নির্বাচনে প্রচার করার মত টাকা নেই। নেতাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, সরকার পতনের চক্রান্ত করা হচ্ছে। এটি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের একটি চেষ্টা। এই ম্যাচ ফিক্সিং নরেন্দ্র মোদী এবং কয়েকজন ব্যবসায়ী করছে'।
রাহুল গান্ধী বলেছেন, 'আমাদের লড়াই সংবিধান বাঁচানোর লড়াই। নোটবন্দীকরণ- থেকে জিএসটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাহুল বলেন, '৪০ বছরের মধ্যে দেশের বেকারত্ব সর্বোচ্চ। বিজেপির দেশের সংবিধানকে মুছে ফেলতে চায় কারণ তাদের উদ্দেশ্য জনগণের টাকা ছিনতাই করা। জাত শুমারি, বেকারত্ব এবং কৃষকদের এমএসপি দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা'।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী আরও বলেছেন, 'গরিব মানুষের হাত থেকে দেশের সংবিধান কেড়ে নেওয়ার জন্য ম্যাচ ফিক্সিং করা হচ্ছে। যেদিন সংবিধান শেষ হবে, দেশ বাঁচবে না। সংবিধান দেশের মানুষের কণ্ঠস্বর। যেদিন সংবিধান শেষ হবে সেদিন আলাদা রাজ্য হবে। এটাই বিজেপির লক্ষ্য। সংবিধান না থাকলে এজেন্সি দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশ চালানো যায়। মিডিয়ার কণ্ঠস্বর কিনে নিতে পারলেও জনগণের কণ্ঠকে দমিয়ে রাখা যাবে না'।