/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/Rahul-gandhi.jpg)
ব্রিগেডের সভার পাশে থাকার বার্তা দিলেন রাহুল গান্ধি।
ব্রিগেড সমাবেশে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একত্রিত করার জন্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার বার্তা দিলেন কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী। ফেসবুক পোস্ট ও চিঠির মাধ্যমে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মমতাকে জানিয়েছেন, ওই সমাবেশ "ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী" ভারতের বার্তা দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, শনিবারের ব্রিগেডে হাজির থাকবেন মল্লিকার্জুন খাড়গে ও অভিষেক মনু সিংভি।
কি বলেছেন রাহুল? "মোদী সরকারের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও মিথ্যা কার্যকলাপের কারণে দেশের জনগনের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। এমন একটা ভারত চাই যেখানে পুরুষ, নারী বা শিশু, এমনকী ভাষা, ধর্ম বা অর্থনৈতিক অবস্থা যাই হোক না কেন, প্রত্যেকেই সম্মানের সঙ্গে জীবনধারন করবে। আমাদের বিশ্বাস, প্রকৃত জাতীয়তাবোধ ও উন্নয়ন শুধু গণতন্ত্র, সামাজিক ন্যায়বিচার ও ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর নির্ভর করে। যা বিজেপি ও মোদী ধ্বংস করে চলেছে।" রাহুলের চিঠি নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তবে তিনি জানান, শনিবার ব্রিগেডের সভার আগে বা পরে রাজ্য কংগ্রেস দপ্তরে যাবেন খাড়গে।
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/01/IMG-20190118-WA0053.jpg)
রাজ্য বিজেপি অবশ্য শনিবারের সভা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু বলেন, "সবাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখতে চাইছেন। বিনে পয়সায় স্বপ্ন দেখার ইচ্ছা থাকলে দেখতে পারেন। বিজেপি বিরোধীদের এই ব্রিগেড একটা হাস্যকর যাত্রা বা সার্কাস বলা যেতেই পারেও। সময় পেলে আমিও দেখার চেষ্টা করব।"
সিপিআইএম বা বামপন্থীরা বিজেপি বিরোধী এই জনসভা উল্লেখযোগ্যভাবে গরহাজির। সিপিআইএম সাংসদ মহম্মদ সেলিমের স্পষ্ট বক্তব্য, "কেউ বিশ্বাসই করে না বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চায় তৃণমূল কংগ্রেস।" তিনি আরও বলেন, "তৃণমূল ও মমতার আচরণ সন্দেহজনক। কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল হয়েছিল বিজেপিকে সাহায্য করতে। কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসতেও সাহায্য করেছিল তৃণমূল। বাংলায় রাজনীতিগত, আদর্শগত, বা প্রশাসনিক, কোনওভাবে বিজেপিকে রোখার চেষ্টা করছে না তৃণমূল। বরং এরাজ্যে এমন রাজনৈতিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে যে সহজেই আরএসএস ও বিজেপির শক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে।"