ফের কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ উঠল হাবড়ার বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহার বিরুদ্ধে। এদিন সকালে থলি হাতে বাজার করেন তিনি। পরে লাঙল হাতে চাষ করতে দেখা যায় রাহুল সিনহাকে। চাষের সময় বেশ কয়েকজন কৃষকের সহ্গে কথা বলতে দেখা য।ায় এই বিজেপি নেতাকে। এছাড়াও অভিযোগ, বাজারে গিয়ে মানুষজনের কাছে বিজেপির মাহাত্য তুলে ধরেন তিনি। যা তাঁর উপর জারি হওয়া কমিশনের ৪৮ ঘন্টা নিষেধাজ্ঞাকে বুড়ো আঙুল বলেই অভিযোগ তৃণমূলের।
যদিও শাসক শিবিরের অভিযোগ উড়িয়েছেন বিজেপি প্রার্থী রাহুল সিনহা। তাঁর সাফাই, 'আমাকে প্রচার করতে বারণ করা হয়েছে। কিন্তু বাজার করতে তো নয়। আমি বাজার করলাম। এরপর চাষিদের ডাকে চাষ করেছি। তাঁরা বলেছেন আমি এখানে আসায় ওঁদের জমি পূণ্য হয়ে গিয়েছে। এসব কিছুই নির্বাচনের জন্য নয়।'
৪৮ ঘন্য়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই মঙ্গলবার তাঁর সমর্থনে প্রচারে আসা শুভেন্দু অধিকারীর সভায় হাজির ছিলেন রাহুল সিনহা। এ সম্পর্কে হাবড়ার বিজেপি প্রার্থীর দাবি, 'আমি তো মঞ্চে উঠিনি। প্রচার করতে নিষেধ আছে, শুনতে তো নয়। তাই জনসাধাণের সঙ্গে বসে শুভেন্দুবাবুর বক্তব্য শুনেছি।'
যদিও নিষেধাজ্ঞার সময় রাহুলের গতিবিধি নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে নালিশ জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা হাবড়ার তৃণমূল প্রার্থী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তাঁর কতায়, 'এই তো নির্বাচনের কমিশনের আইন-শৃঙ্খলা কিছুই মানা হচ্ছে না। এরা নাকি সোনার বাংলা গড়বে। জিতবে না জেনেই এখন নাটক করছে।'
শীতলকুচির ঘটনার পরপরই রাহুল সিনহা বলেছিলেন, 'চারজন নয়, শীতলকুচিতে আটজনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর। আর আটজন কে মারা হল না, তার জন্য সিআরপিএফ-কে শোকজ করা উচিত।' এই মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পরে যায়। কমিশনে অভিযোগ জানায় তৃণমূল। তারপরই পদক্ষেপ করে কমিশন। ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাহুল সিনহার প্রচারে 'নিষিদ্ধ' জারি করে নির্বাচন কমিশন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন