উনিশের ভোটযুদ্ধে মোদীবাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে একে অপরের হাত ধরেছেন বুয়া-বাবুয়া। উত্তরপ্রদেশে সপা-বসপার জোটে ঠাঁই পাননি রাহুল গান্ধীরাও। এবার সেই জোটেই ঢুকতে মরিয়া আরএলডি। অখিলেশ-মায়াবতীদের জোটের অংশীদার হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে আরএলডি। এ নিয়ে উত্তরপ্রদেশের দুই প্রধান বিরোধীদলের সঙ্গে তাঁরা আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানালেন আরএলডি নেতৃত্ব।
এ প্রসঙ্গে আরএলডির রাজ্য সভাপতি মাসুদ আহমেদ বলেছেন, ‘‘এখনও দু-তিন দফায় আলোচনা হবে। আগে লখনউয়ে আরএলডি-র সহ-সভাপতি জয়ন্ত চৌধুরির সঙ্গে অখিলেশ যাদবের বৈঠক হয়েছে। যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ে কথা হয়েছে। আমরা ঠিক জানি না, ওঁরা(অখিলেশ-মায়াবতী) কী বলেছেন। ওঁদের বক্তব্য পুরোটা জানার পরই এ ব্যাপারে বিশদে বলতে পারব। তবে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস যে, আমরা ইতিবাচক সাড়া পাব।’’ আহমেদের কথায়, ‘‘আমরা আশা করছি, আমাদের দাবি নিয়ে ওঁরা ভাববেন।’’
আরও পড়ুন, ‘‘কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কোনও লাভ নেই’’, বললেন মায়াবতী
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোটে গেরুয়াবাহিনীকে রুখতে শনিবারই সপা-বসপা জোটের কথা ঘোষণা করেছেন মায়াবতী-অখিলেশরা। উত্তরপ্রদেশে ৮০টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৮টি আসনে একসঙ্গে লড়বে সপা-বসপা। ২টি আসন রাখা হয়েছে ছোট দলগুলির জন্য। উত্তরপ্রদেশের কংগ্রেসি ঐতিহ্যের কথা স্মরণে রেখে রায়বরেলি ও আমেঠি কেন্দ্রে আগামী লোকসভা নির্বাচনে কোনও প্রার্থী দেবে না সপা-বসপা জোট। ওই দুই কেন্দ্রে কার্যত একচ্ছত্র আধিপত্য সোনিয়া ও রাহুল গান্ধীর।
এদিন জোট ঘোষণা করতে গিয়ে মায়াবতী বলেছেন, ‘‘আমাদের জোটে অমিত শাহ-মোদীর রাতের ঘুম উড়ে যাবে।’’ সপা নেতা অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের আত্মহত্যার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, জাতের ভিত্তিতে এনকাউন্টার হচ্ছে, যেখানে বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। সব নিষ্ঠুরতার অবসান ঘটাবে এই জোট।’’
দুই বিরোধী দলের জোটে কেন কংগ্রেস নেই? এ ব্যাপারে অবশ্য সোজাসাপটা জবাব দিয়েছেন মায়াবতী। বসপা নেত্রীর স্পষ্ট জবাব, ‘‘কংগ্রেস হোক কিংবা বিজেপি, সব এক। অতীতের অভিজ্ঞতা বলছে, কংগ্রেসের ভোট আমাদের ঝুলিতে আসে না। হয়তো এটাই কংগ্রেসের চাল, তাদের ভোট বিজেপিতে যায়। ফলে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে কোনও লাভ নেই।’’ লখনউয়ে এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে মায়াবতী আরও বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিল, আর আজ বিজেপির জন্য অঘোষিত জরুরি অবস্থা চলছে দেশে।’’
Read the full story in English