Advertisment

'নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বিজেপির ভূমিকা ভোলার নয়', শহিদ দিবসে চাঁচাছোলা শুভেন্দু

'বিশ্বাসঘাতকের' তকরমা ঘোচাতে মরিয়া নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেত্রী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ফুল পাল্টে শুভেন্দু এখন পদ্ম শিবিরে। দলবদলের পর থেকেই মীরজাফর বলে তাঁকে দেগে দেওয়ার চেষ্টার তৃণমূল। নন্দীগ্রাম দিবসে শহিদ বেদীতে শুভেন্দুর মাল্যদান করাকে কেন্দ্র করেও এদিন উত্তেজনা ছড়ায় গোকুলনগরে। যে আন্দোলনে বিজেপির কোনও ভূমিকা ছিল না সেখানে কেন শুভেন্দুর কর্মসূচি হবে তা নিয়েই প্রসান তোলা হয় শাসক শিবিরের তরফে। জবাবে ২০০৭ সালে নন্দীগ্রাম আন্দোলনে পদ্ম বাহিনীর ভূমিকার কথা স্মরণ করালেন ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী।

Advertisment

কী বলেছেন শুভেন্দু?

গকুলনগরের শহিদ বেদীতে মাল্যদান করে 'মীরজাফরে'র তকমা ওড়ান শুভেন্দু। গকুলনগরে ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ আন্দোলনে গুলি চালানো পুলিশ অফিসার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন তৃণমূলে নেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতা। তৃণমূলকে নিশানা করে তিনি বলেন, 'নন্দীগ্রামে ১৪ জন শহিদ হয়েছিলেন। পশ্চিমবঙ্গে যে দল আছে, কষ্ট হলেও তাঁদের সঙ্গে ছিলাম। সেই সময় পুলিশ অফিসার সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গুলি চলেছিল। সেই সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলে। তাঁকে পতাকা ধরিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিশ্বাসঘাতক, মিরাজফর কে? যে দাঁড়িয়ে গুলি করলেন তাঁকে পতাকা ধরালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।'

এরপরই শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, 'আগেও কেউ আসেনি। আগামিদিনেও আসবে না। গড় চক্রবেরিয়ার, ভূতামোড়ের দুষ্কৃতী দিয়ে যদি মনে করেন নন্দীগ্রামে অশান্তি তৈরি করবে তাহলে তা হবে না। ভোট এবারে হবে। নতুন ভোট দেখবেন আপনারা। সবাই নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।'

নন্দীগ্রাম আন্দোলনে বিজেপির কী কোনও ভূমিকা ছিল? প্রসান তুলে গেরুয়া শিবিরকে বিঁধছে তৃণমূল। এপ্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, 'ওই ঘটনার দিন নন্দীগ্রামে ঢুকতে পারিনি। পরের দিন এসেছিলাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ১৫ মার্চ এসেছিলেন। কে ঢুকিয়েছিলেন জানেন? লালকৃষ্ণ আডবাণী। তার সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন রাজনাথ সিংহ, সুষমা স্বরাজ, ধর্মেন্দ্র প্রধানরা। সিপিএমের অবরোধ ছিল। শেষ গেটটা খুলেছিল বিজেপিই।'

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

nandigram West Bengal Election 2021 Suvendu Adhikari bjp West Bengal Assembly Election 2021
Advertisment