Advertisment

Lok Sabha Election 2019: 'বাবরি ভাঙা নিয়ে গর্ব করি এখনও'

ভোপালের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ভি এল কথা রাও বলেছেন আদর্শ নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করে মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন সাধ্বী। তবে একই সঙ্গে রাও জানিয়েছেন নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ায় কোনও শাস্তি নাও হতে পারে তাঁর।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sadhvi pragya joins bjp

সাধ্বী প্রজ্ঞা। ফাইল ছবি

বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দিন চারেক আগে। তারপর থেকে বিতর্কের কেন্দ্রে থেকেছেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর।সাধ্বী প্রজ্ঞা প্রকাশ্যে জানিয়েছেন ১৯৯২ এর বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় তাঁর পূর্ণ সমর্থন ছিল। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর খবর সাধ্বীর এই মন্তব্যের জেরে ভোপালের জেলা নির্বাচন দফতর তাঁকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁর মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে বলেছে।

Advertisment

শনিবার একটি সংবাদ চ্যানেল আজ তক কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাধ্বী প্রজ্ঞা জানিয়েছেন অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করার ঘটনায় তার সমর্থন ছিল, তার জন্য বিন্দুমাত্র অনুশোচনা তো নেই-ই, বরং নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে গর্ব বোধ রয়েছে।

"অনুশোচনা কেন থাকবে। বরং অহংকার রয়েছে। কয়েকজন অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি রাম মন্দিরে প্রবেশ করতে চেয়েছিল, আমরা তাঁদের সরিয়েছি। দেশের প্রতি সম্মান বোধ থেকেই এটা করেছি। এবার রাম মন্দির তৈরি হবে", বললেন মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত সাধ্বী।

" width="640" height="360" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">

সম্প্রতি এক দিন আগেই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে নোটিশ পেয়েছিলেন প্রজ্ঞা। হেমন্ত কারকারের মৃত্যু হয়েছে তাঁরই অভিশাপে, এমন মন্তব্যের জেরে গত শুক্রবার কমিশনের কাছে নোটিশ পেয়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন, ‘১৪ তে শুধু মোদী ছিল, এবার কাজও আছে’

সংবাদসংস্থা এএনআই প্রকাশিত একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, প্রজ্ঞা ঠাকুর বলছেন, ”আমি হেমন্ত কারকারেকে বলেছিলাম, আমার বিরুদ্ধে যখন কোনও প্রমাণ নেই, আমায় ছেড়ে দিন। উনি বলেছিলেন, উনি প্রমাণ জোগাড় করে আনবেন কিন্তু আমায় ছাড়বেন না। আমি ওঁকে বলেছিলাম- আপনি শেষ হয়ে যাবেন।”

ভোপালের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ভি এল কথা রাও বলেছেন আদর্শ নির্বাচনবিধি লঙ্ঘন করে মানুষের মধ্যে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন সাধ্বী। তবে একই সঙ্গে রাও জানিয়েছেন নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ায় কোনও শাস্তি নাও হতে পারে তাঁর। তবে সে ক্ষেত্রে লিখিত ভাবেও ক্ষমা চাইতে হবে।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত প্রজ্ঞা বর্তমানে জামিনে মুক্তি পেয়ে জেলের বাইরে রয়েছেন। ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৮-এর ওই বিস্ফোরণ ঘটানো হয় একটি মোটরবাইকে বাঁধা আইইডি বা ইমপ্রভাইসড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের দ্বারা। বিস্ফোরণে মারা যান ছয় জন, আহত হন ১০০-র ও বেশি মানুষ। বছর দেড়েক আগে, ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর, বিশেষ এনআইএ আদালত এই মামলায় লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদ পুরোহিত, সাধ্বী প্রজ্ঞা, সমীর কুলকার্নি, এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে Maharashtra Control of Organised Crime Act এর অন্তর্গত কয়েকটি কঠোর অভিযোগ তুলে নেয়।

Read the full story in English

bjp election commission Babri Mosque General Election 2019
Advertisment