General Election 2019: নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও রাজনৈতিক নেতার জীবন কেন্দ্রিক সিনেমা সম্প্রচার করা যাবে না, এমনটাই নির্দেশ ছিল নির্বাচন কমিশনের। এই নির্দেশ অনুযায়ী আটকে গিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বায়োপিক। এরপরই ছবি মুক্তির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় প্রযোজক সংস্থা। কিন্তু, শুক্রবার বিবেক ওবেরয় অভিনীত 'পি এম নরেন্দ্র মোদি' মুক্তির আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে ছবি মুক্তির জন্য আবেদন করেছিল প্রযোজক সন্দীপ সিং। শুক্রবার সেই আবেদনকে নাকচ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত ছিল, ১৯ মে শেষ দফার ভোটের আগে মুক্তি পেতে পারবে না এই বায়োপিক। শুক্রবার সেই সিদ্ধান্তকেই বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত।
লোকসভা ভোটের আরও খবর পড়ুন, এখানে
এর আগে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে সম্পূর্ন চলচ্চিত্রটি দেখে তারপর রিপোর্ট দাখিল করার নির্দেশ দিয়েছিল। অন্যদিকে, প্রযোজকদের তরফ থেকে আবেদনে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিপরীতে গিয়ে অনুমোদন দিয়েছিল সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ফিল্ম সার্টিফিকেটশন। কিন্তু তারপরেও কীভাবে এই ছবিকে আটকে দেওয়া হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন কুর্তা-মিষ্টি পাঠাই, তবু মোদী রোজ চমকায়: মমতা
গত সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টে একটি বিবৃতিতে জানায়, 'পি এম মোদী' শুধুমাত্র একটি বায়োপিক নয়। এর সংলাপ, উপস্থাপনার প্রতিটি পরতে পরতে রয়েছে রাজনৈতিক রঙ এবং রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে স্তুতিবাক্য। নির্বাচন কমিশন শীর্ষ আদালতে এই ছবিকে "জীবনীমূলক" আখ্যা দিয়ে জানায়, চলতি লোকসভা নির্বাচনের সময় এই ছবিটি কোনও একটি বিশেষ দলের ভাবমূর্তি উন্নতিতে সাহায্য করছে। ফলে অবশ্যই নির্বাচনী বিধিকে লঙ্ঘন করছে।
আরও পড়ুন “বায়োপিকের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই”: আইনি ব্যবস্থার হুমকি মমতার
নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে ৬ জন প্রতিনিধির একটি দল এই ছবিটিকে 'একমাত্রিক ধারা'র ছবি হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী তাঁরা ছবিটি থেকে সতেরোটি এমন উদাহরণ তুলে এনেছে যেখানে স্পষ্ট যে ছবিটি আসলেই একটি বিশেষ দল এবং ধর্মকে প্রচার করছে।
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচন ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। এর মধ্যেই এই ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ছবি মুক্তির আবেদন এদিন শীর্ষ আদালতের খারি করে দেওয়ায় কার্যত বড় অস্বস্তিতে পড়লেন প্রযোজকেরা।
Read the full story in English