নির্বাচনী প্রার্থী হওয়ার জন্য স্থগিত রাখা হোক তাঁর শাস্তি, এই মর্মে শীর্ষ আদালতে জরুরি শুনানির আবেদন জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা হার্দিক পাটেল। মঙ্গলবার সেই জরুরি শুনানির আবেদন খারিজ করল দেশের শীর্ষ আদালত।
২০১৫ সালে হার্দিক যখন পতিদার আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে দাঙ্গা বাধানো ও সরকারি সম্পত্তি নষ্টের অভিযোগ ওঠে। দোষী সাব্যস্ত করে হার্দিককে দু'বছরের কারাদণ্ড দেয় মেহসানার দায়রা আদালত। তার বিরুদ্ধে আপিল করলে গুজরাট হাইকোর্ট ২০১৮ সালের অগস্টে বলে, শাস্তি বহাল থাকবে কিন্তু তাঁকে জেলে থাকতে হবে না। সেই শাস্তির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি। ২০১৮ এর আগস্ট মাসে জামিনে মুক্তি পান হার্দিক পাটেল। তবে তাঁর শাস্তির মেয়াদ এখনও শেষ হয়নি।
আরও পড়ুন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নির্দেশকে অসাংবিধানিক তকমা সুপ্রিম কোর্টের
চলতি বছরের ১২ মার্চ কংগ্রেসে যোগ দেন হার্দিক। সূত্রের খবর অনুযায়ী গুজরাতের জামনগর কেন্দ্র থেকে নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি।
গত ২৯ মার্চ গুজরাত হাইকোর্টে তাঁর সাজা স্থগিতে রাখার জন্য আবেদন করেছিলেন হার্দিক। কিন্তু সে আর্জি খারিজ করে দেওয়া হয়। আগামী ২৩ এপ্রিল গুজরাতে ভোট। প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামী ৪ এপ্রিল। অর্থাৎ হার্দিকের নির্বাচন লড়ার সব আশায় কার্যত জল ঢেলে দিল দেশের শীর্ষ আদালত।
তবে এমন আশঙ্কা যে ছিল না, তা নয়। লোকসভা নির্বাচনে দাঁড়ানোর অনুমতি না পেলে 'অপূরণীয় ক্ষতি' হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন হার্দিক পাটেল।
Read the full story in English