Advertisment

গোপন রইল না ভোটদান

আহমেদাবাদের সুরাট ও অন্যান্য শহরগুলির বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী টুইটার এবং ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া অবস্থায় ছবি ক্লিক করে, এবং সেটি সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কাকে ভোট দিচ্ছে, তা লুকিয়ে রাখতে চায় না ভোটারদের একাংশ। মঙ্গলবার তৃতীয়দফায় ভোট দিতে গিয়ে কাকে ভোট দিচ্ছে তার ছবি সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন কিছু ভোটার। এই আচরণ ভোট পক্রিয়ার নিয়মাবলীকে লঙ্ঘন করে।

Advertisment

ইলেকশন কমিশনারের নির্দেশিকা অনুযায়ী, পোলিং বুথের ভিতরে মোবাইল বা কর্ডলেস ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ। ভোট কেন্দ্রে ফোনের ব্যবহার ভোট প্রক্রিয়ার আচরণবিধি লঙ্ঘন হিসাবে গণ্য হয়।

তবে, মঙ্গলবার, আহমেদাবাদের সুরাট ও অন্যান্য শহরগুলির বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী টুইটার এবং ফেসবুকের প্ল্যাটফর্মে ইভিএম মেশিনে ভোট দেওয়া অবস্থায় ছবি তোলেন এবং সেটি পোস্ট করে সোশাল মিডিয়ায়।

আরও পড়ুন:ভোটের মেশিন থেকে বেরলো সাপ

সুরাটে বিজেপির সংখ্যালঘু মোর্চার সহ-সভাপতি আকরাম শাহ ভোটার আইডি কার্ডের সঙ্গে ইভিএম একটি ছবি টুইট করেছেন, যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রার্থীর ছবির পাশে লাল আলো জ্বলছে। তিনি প্রমাণ রেখেছেন কাকে ভোট দিয়েছেন। টুইটারে ছবি পোস্ট করার পর শাহ জানিয়েছে, তার কাছ থেকে প্রমাণ চেয়েছিলেন বেশ কিছু নেট নাগরিক, তিনি কোন দলে ভোট দিয়েছেন তা প্রকাশ্যে আনার জন্যই ছবি পোস্ট করেন।

কিন্তু তিনি যে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম লঙ্ঘন করলেন, সে বিষয়ে শাহকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানায়, অনেকেই এই কাজ করেছে। কুমার বলেন ইলেকশেন কমিশনের নিয়মাবলী সম্পর্কে তিনি অবগত ছিলেন না। একই কাজ করেছে পাতিল। তিনি বলেন, কোনো ভোট কর্মী আমায় ভিতরে ছবি তুলতে বারণ করে নি, তাই আমি ছবি তুলেছি।

আহমেদাবাদের কালেকটর বিক্রান্ত পান্ডে বলেন, "আমরা এই ধরনের ঘটনার ওপর নজর রাখছি। ইভিএম ভোট দানের সময় ছবি তোলা বা সেলফোন ব্যবহার ভোটিং প্রক্রিয়ার গোপনীয়তাকে লঙ্ঘন করে। তবে, এখনও অবধি ভোটাররা ইচ্ছাকৃতভাবে তা লঙ্ঘন করেনি "।

Read the full story in English

election commission General Election 2019
Advertisment