Advertisment

লোকসভার দৌড় থেকে সরে দাঁড়ালেন শরদ পাওয়ার

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
sharad pawar lok sabha 2019

কন্যা সুপ্রিয়া সুলের সঙ্গে শরদ পাওয়ার

গত ১৯ জানুয়ারি তাঁকে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেড মহাসমাবেশে। আজ জানা গেল, "পারিবারিক রাজনীতির" অভিযোগ এড়াতে এবং যুবশক্তির পথ পরিষ্কার করতে লোকসভা নির্বাচনের ময়দান থেকে সরে দাঁড়ালেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) প্রধান এবং বর্ষীয়ান রাজনীতিক শরদ পাওয়ার।

Advertisment

দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক সেরে পাওয়ার বলেন, "ওঁরা আমাকে অনুরোধ করেন মাঢ়া কেন্দ্র থেকে দাঁড়াতে, কিন্তু আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিলাম, একই পরিবারের এতজন সদস্যের ভোটে দাঁড়ানো উচিত নয়। উদ্দেশ্য হলো নতুনদের রাজনীতিতে সুযোগ দেওয়া। এখন পার্টির নেতারা বলছেন, পার্থ পাওয়ারের প্রার্থী হওয়া উচিত।" পার্থ পাওয়ার হলেন শীর্ষ এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ারের পুত্র এবং শরদ পাওয়ারের প্রপৌত্র স্থানীয়।

পাওয়ারের ইচ্ছা, এই নির্বাচন লড়ুন যুব নেতারা। তাঁর বক্তব্য, "পেজ্যান্ট ওয়ার্কার্স পার্টিও চাইছে পার্থ মাভাল লোকসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচন লড়ুক। সেইমতোই তাকে লোকসভার টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা।"

আরও পড়ুন: বিরোধীদের ‘দেশদ্রোহী’ বলার অর্থ তাঁদের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া, বিজেপিকে তোপ শিবসেনার

সোমবার এনসিপি প্রধান মাঢ়া লোকসভা কেন্দ্রে দলের প্রস্তুতির পর্যালোচনা করেন। "আমি ভয়ে সরে দাঁড়াচ্ছি না। মোট ১৪ টা নির্বাচন লড়েছি, একবারও হারি নি। ১৫ বারের বার ভয় পাওয়ার তো কোনও কারণ নেই। আমি ভোটে দাঁড়াচ্ছি না কারণ আমি চাই না যে একই পরিবার এতজন নির্বাচন লড়ুক," বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেও লোকসভা ভোটে দাঁড়ান নি পাওয়ার, এবং মাঢ়া থেকে দলের প্রার্থী হন বিজয়সিং মোহিতে পাটিল, যিনি ২০০৯ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত ওই কেন্দ্রেই নির্বাচিত প্রার্থী ছিলেন। পাওয়ার সেবছর রাজ্যসভায় মনোনীত হন। এদিকে ২০০৯ সালে বারামতী কেন্দ্রটি খালি করে দেন তাঁর কন্যা সুপ্রিয়া সুলে'র জন্য, যিনি সেবার নিজের প্রথম নির্বাচন জেতেন প্রায় তিন লক্ষ ভোটের ব্যবধানে।

এবারের নির্বাচনের আগে তাঁর দলের সদস্যরা পাওয়ারকে ফের নির্বাচন লড়ার কথা বলেছিলেন। পাওয়ার সেসময় বলেন, তিনি ভেবে জানাবেন।

lok sabha 2019 Lok Sabha polls
Advertisment