এক সপ্তাহ আগেই খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। বিজেপির 'বিদ্রোহী' নেতা শত্রুঘ্ন সিনহা কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে যোগদান পর্ব সারা হল। সাংবাদিক বৈঠক করে শনিবার অভিনেতা জানালেন, বিজেপিতে কোনও উন্নতি বা পরিবর্তনের সম্ভাবনা না দেখেই দল ছাড়লেন তিনি। জানিয়ে দিলেন বিহারের পাটনাসাহিব থেকে আসন্ন লোকসভায় কংগ্রেস প্রার্থী হচ্ছেন তিনি।
Advertisment
কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল ও মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার উপস্থিতিতে কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপি-র এই বিক্ষুব্ধ নেতা। সম্প্রতি কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর তাঁর দলে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকা শত্রুঘ্ন।
"যাদের উদ্দেশ্য ভালো ছিল, সেই সমস্ত মানুষকে বিজেপি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছে", এই প্রসঙ্গে এলকে আদবানি, মুরলি মনোহর যোশী, অরুণ শৌরির নাম উল্লেখ করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। বললেন, "দলের সবাই মোদীজিকে ভয় পায়। সাংসদরাও প্রধানমন্ত্রীকে ভয় পান। ধর্মনিরপেক্ষতার ব্যাপারে বিজেপি কোনও পদক্ষেপ নেয়নি"।
বিহারের পাটনাসাহিব থেকে দু'বার সাংসদ হয়েছেন শত্রুঘ্ন সিনহা। আসন্ন লোকসভায় ওই কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী হচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ।
বিজেপির বিমুদ্রাকরণকে 'সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি' হিসেবে বর্ণনা করলেন শত্রুঘ্ন সিনহা। "আমি সবসময় কৃষক এবং তরুণ সম্প্রদায়ের ভালোর কথা ভেবেছি। আমি যখন নোটবন্দির বিরোধিতা করেছিলাম, সবাই আমায় 'বিদ্রোহী' বলেছিল। যদি সত্যি কথা বলতে হলে বিদ্রোহী হতে হয়, তবে আমি তাই"।