বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না মোদীর বায়োপিকের। সংবাদপত্রের পাতা জুড়ে ছবির বিজ্ঞাপন দেওয়ায় পূর্ব দিল্লির রিটার্নিং অফিসারের দফতর থেকে দুটি সংবাদপত্রকে শোকজ নোটিস পাঠানো হল বুধবার। দৈনিক ভাস্কর এবং দৈনিক জাগরণ, এই দুই সংবাদপত্রকে নোটিস পাঠানো হয়েছে।
১৭তম লোকসভা নির্বাচনের আগেই দেশে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বায়োপিক।কিন্তু নির্বাচনী আচরণবিধির জারি হওয়ার কারণে বায়োপিকটি ৫ এপ্রিল আদৌ মুক্তি পাবে কি না, খতিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন। সেন্সর বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছে তারা।
গত ১০ মার্চ থেকে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি জারি হওয়া সত্ত্বেও ছবিটির প্রচারমূলক বিজ্ঞাপন সংবাদপত্রের পুরো পাতা জুড়ে ছাপা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দুই সংবাদপত্রকে বুধবার শোকজ নোটিস ধরিয়েছে পূর্ব দিল্লি লোকসভা কেন্দ্রের রিটার্নিং অফিসার। ২৫ মার্চের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের কাছে কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে ওই দুটি সংবাদপত্রকে। নোটিসে আরও বলা হয়েছে সংবাদপত্র দুটি যেন মিডিয়া সার্টিফিকেশন অ্যান্ড মনিটরিং কমিটি (এমসিএমসি)-র শংসাপত্র জমা দেয় নির্বাচনের কাছে। প্রসঙ্গত, প্রিন্ট মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার জন্য এমসিএমসি-র শংসাপত্রের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন, রবীন্দ্রসংগীতে মোদীকে বিঁধলেন মমতা
জেলা নির্বাচন আধিকারিক কে মহেশ সদ্য জারি করা নোটিসে বিজ্ঞাপনদাতা এবং প্রকাশক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, "সারোগেট অ্যাডভার্টাইজমেন্ট সংক্রান্ত নিয়ম এবং জন প্রতিনিধি আইনে, যে কোনও বিজ্ঞাপনের খরচ রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর প্রচারের জন্য ধার্য খরচের মধ্যে পরার কথা"।
সুত্রের খবর বলছে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নিয়ম পুরোপুরি ধোঁয়াশামুক্ত নয়। এক আধিকারিক জানালেন, "সোশাল মিডিয়া, চলচ্চিত্র সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ম খুব স্পষ্ট নয়"।
দৈনিক ভাস্করের সম্পাদক আনন্দ পাণ্ডে জানিয়েছেন, তিনি শোকজ নোটিস এখনও পাননি। দৈনিক জাগরণের সম্পাদক সঞ্জয় গুপ্তা ফোনের জবাব দেননি। বিজ্ঞাপনদাতা টি সিরিজ এবং লিজেন্ড গ্লোবাল স্টুডিও-র সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
Read the full story in English