অশ্লীল ভিডিও মামলায় SIT-এর বড় পদক্ষেপ, JDS সাংসদ প্রজ্জল রেভান্নার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল বিশেষ তদন্তকারী দল। মঙ্গলবার কর্ণাটক সরকারের তরফে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দল (এসআইটি) যৌন হয়রানির ঘটনায় জেডিএস সাংসদ প্রজ্জল রেভান্নাকেও নোটিশ পাঠিয়েছে। তার একদিন পরই সাংসদ রেভান্নার বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপ নিল সিট।
স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) জেডিএস সাংসদ প্রজ্জল রেভান্নার বিরুদ্ধে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিয়েছে । বৃহস্পতিবার (২রা মে) যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় রেভান্নার বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছে। মঙ্গলবার (30 এপ্রিল) জারি করা নোটিশের পর প্রজ্জল রেভান্না এবং তার বিধায়ক বাবা এইচডি রেভান্না হাজির না হওয়ায় এসআইটি এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
কর্ণাটক রাজ্য মহিলা কমিশনের সুপারিশে মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া যৌন হেনস্থার তদন্তে এসআইটি গঠন করেন। রিপোর্ট অনুসারে, জানা গিয়েছে প্রজ্জল এসআইটির সামনে হাজির হওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় চেয়েছিলেন, যা প্রত্যাখ্যান করে সিট। এর পরই জারি করা হয়েছে লুকআউট নোটিশ।
এদিকে যৌন কেলেঙ্কারি ঘটনায় জেডিএস সাংসদ তাঁর বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে, রেভান্না বলেছেন যে শীঘ্রই সত্য প্রকাশ্যে আসবে। উল্লেখ্য ২৬ এপ্রিল হাসানের নির্বাচন শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেডিএস নেতা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।
প্রজ্বল রেভান্নার বাড়িতে কর্মরত এক মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন যে তিনি যৌন হেনস্থার সম্মুখীন হয়েছেন। এর পরে, পুলিশ জেডিএস এমপির বিরুদ্ধে আইসিপি ধারা 354A 354D, 506 এবং 509 নং ধারায় মামলা দায়ের করেছে। এরপরই এ নিয়ে রাজনীতিও শুরু হয়। জেডিএস-এর পাশাপাশি কংগ্রেস নেতারাও বিজেপিকে নিশানা করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের জন্য কর্ণাটকে জোট বেঁধেছে বিজেপি ও জেডিএস। রেভান্না সম্পর্কিত ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরে, মহিলা কমিশন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে একটি চিঠি লিখে একটি এসআইটি গঠনের দাবি জানায়।