চতুর্থ দফার ভোটের শুরু থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের শীতলকুচি। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল এক যুবকের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় শীতলকুচির পাঠানটুলি এলাকা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ, ব়্যাফ ও কমব্যাট ফোর্স। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই কমিশনের তরফে ফোন করা হয়েছে রিটার্নিং অফিসারকে। ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়েছে।
বিজেপি কর্মীদের দাবি, পাঠানটুলির ৮৫ নম্বর বুথ থেকে জোর করেই বিজেপির এজেন্ট আনন্দ বর্মনকে বের করে দেয় তৃণমূল। এরপরই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। বোমাবাজিও চলে ওই বুথের সামনে। যাকে কেন্দ্র করে উত্তজনা ছড়ায়। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীরা।
গুলিবিদ্ধ আনন্দ বর্মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই ব্যক্তি মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। কর্মীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। যদিও পরিবারের দাবি, ওই যুবক বিজেপির পোলিং এজেন্ট নন। তিনি প্রথমবার ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সে গুলিবিদ্ধ হয়।
কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত আশান্তির অভিযোগ আসে। বিজেপির অভিযোগ, দিনহাটা, শীতলকুচি, নাটাবাড়ি, তুফানগঞ্জের একাধিক বুথে তৃণমূলের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। বেশিরভাগের তিরই তৃণমূলের দিকে। যদিও অভিযোগ আস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেতারা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন