২৩ মে, যেদিন ভোটের ফল ঘোষিত হবে, সেই দিনই দিল্লিতে বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে এক বৈঠকে পৌরোহিত্য করবেন ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। ইউপিএ শরিক ডিএমকে বৃহস্পতিবার এ বৈঠকে থাকবে বলে জানিয়েছে। দলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন সোনিয়ার কাছ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছেন।
ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে এ বারের নির্বাচনী প্রচারে দেখাই যায়নি। শোনা গেছে, তিনি এনডিএ-শরিক নয় এমন দলগুলির নেতাদের সঙ্গে নীরবে যোগাযোগ রেখে চলছিলেন।
এবারের ভোটে ত্রিশঙ্কু ফলাফল হবে এমনটাই ভাবছেন সোনিয়া। সে জন্য তিনি কমল নাথ সহ কয়েকজন বরিষ্ঠ দলীয় নেতাদের উপর ভার দিয়েছিলেন বিজেডি প্রধান নবীন পট্টনায়ক, ওয়াই এস কংগ্রেসের জগন মোহন রেড্ডি এবং টিআরএসের চন্দ্রশেখর রাওয়ের সঙ্গে যোগাযোহ করার। এই সব নেতাদের সঙ্গেই ঘরোয়াস্তরে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, কংগ্রেস ওয়াইএস জগনের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে রাজি হয়েছে, যে জগন তাঁর বাবা তথা অবিভক্ত অন্ধ্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস রাজশেখর রেড্ডির মৃত্যুর পর কংগ্রেস ছেড়ে গিয়েছিলেন। ওয়াই এস আর কংগ্রেসের সঙ্গে কংগ্রেসের যে কোনও রকম যোগাযোগই তেলুগু দেশম পার্টি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডুকে বিচলিত করবে। রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জগনের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছেন নাইডু।
ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় সব মিলিয়ে ৬০টি লোকসভা আসন রয়েছে।
Read the Story in English