.
Ayodhya BJP in loksabha election: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের মোদী থেকে শাহ, বারে বারেই উঠে এসেছে রামমন্দিরের প্রসঙ্গ। রাম মন্দির নিয়ে বিরোধী ইন্ডিয়া জোটকেও কোনঠাসা করেছে বিজেপি। কিন্তু গোটা দেশকে চমকে দিয়ে খোদ অযোধ্যাতেই হেরে গিয়েছে বিজেপি। সম্মানেরর লড়াই বিজেপিকে হারিয়েছেন নয় বারের বিধায়ক এবং এসপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য,অবধেশ প্রসাদ।
খোদ অধোধ্যায় বিজেপির দুইবারের সাংসদ লালু সিংকে পরাজিত করে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। অবধেশ প্রসাদ, একমাত্র দলিত নেতা যিনি একটি অ-সংরক্ষিত আসন থেকে জিতেছেন৷ যদিও তিনি নিজেকে দলিত নেতা হিসাবে পরিচয় দিতে নারাজ তিনি। এবং তিনি নিজেকে সমস্ত শ্রেণী ও সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি বলে মনে করেন।
জয়ের পর থেকেই অযোধ্যার সাহাদাতগঞ্জ ওভারব্রিজের কাছে তাঁর বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন সমর্থকরা। আপাতদৃষ্টিতে শুভেচ্ছায় অভিভূত, ৭৯ বছর বয়সী এসপি নেতা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে সাক্ষাৎকার দিতে যে ঘরে বসেছিলেন যেখানে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংয়ের একটি ছবি বাঁধানো রয়েছে। তাঁকেই প্রসাদ তার "রাজনৈতিক গুরু" বলে মনে করেন।
ফৈজাবাদ আসনে বিজেপিকে হারানো নিঃসন্দেহেই অধধেশের এক বড় কৃতিত্ব। তিনি বলেন, “বিজেপি দেশে মিথ্যা প্রচার করছিল। বাস্তব হলো তারা রামের নামে দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, রামের নামে ব্যবসা করেছে, রামের নামে মুদ্রাস্ফীতি বাড়িয়েছে, রামের নামে বেকারত্ব সৃষ্টি করেছে এবং রামের নামে গরিব-কৃষকদের উৎখাত করেছে। বিজেপি রামের মর্যাদা নষ্ট করেছে। মানুষ এটা বুঝতে পেরেছে,”।
আরও পড়ুন : < Rahul Gandhi Accuses PM Modi: কুর্সিতে বসার আগেই মোদীর বিরুদ্ধে বিরাট অভিযোগ, JPC তদন্তের দাবিতে সরব রাহুল >
তাঁর জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা কী ছিল, জানতে চাইলে অবধীশ প্রসাদ বলেন, “এটি এমন একটি নির্বাচন যেখানে জনগণ বিষয়গুলি অনুভব করেছিল। সবাই আমাকে বিশ্বাস করেছিল… জাত সামনে আসেনি। লালু সিং বলেছেন, সংবিধান পরিবর্তন করতে বিজেপির ৪০০ টি আসন দরকার। তার এ কথা বলা উচিত হয়নি। মানুষ এটা পছন্দ করেনি।”
এখন এসপির সবচেয়ে বড় দলিত নেতা প্রসাদ বলেছেন, "এটি আমার জয় নয়, এটি অযোধ্যার মহান মানুষের জয়… অবধেশ প্রসাদ যখন তাঁর প্রতিশ্রুতি পালন করবেন তখন এটিকে তাঁর জয় হিসাবে বিবেচনা করবেন,"।