১৭ তম লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই প্রকাশ্যে এসেছে বিভিন্ন সংস্থার বুথ ফেরত সমীক্ষা বা এক্সিট পোল। ফের একবার ক্ষমতায় আসতে চলেছে এনডিএ সরকার, এক্সিট পোল সেরকমটাই বলছে। তবে আঞ্চলিক অনেক নেতারই আস্থা নেই এক্সিট পোলে। ডিএমকে প্রধান স্ত্যালিনই জানিয়েছেন ২৩ মের ফলাফলের আগে কিছুই বিশ্বাস করছেন না তিনি।
শোনা গিয়েছিল, নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনই বিরোধী দলের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন সনিয়া গান্ধী। সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে স্ত্যালিন বললেন, "এরকম বৈঠকের খবর শুধু গণমাধ্যমেই ছড়িয়েছে। কারা বলেছে এমন বৈঠকের কথা? "একমাত্র ফলাফল ঘোষণার পর সেরকম বৈঠক হওয়া দরকার। আমরা আপাতত ব্হস্পতিবারের জন্য অপেক্ষা করছি", বললেন ডিএমকে প্রধান।
অধিকাংশ এক্সিট পোল বলছে চেন্নাইয়ের ৩৮ টি লোকসভা আসনের মধ্যে বেশ ভাল সংখ্যক আসনই পেতে চলেছে স্ত্যালিনের দল। প্রসঙ্গত স্ত্যালিন ঘনিষ্ঠ এক কর্মীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ উদ্ধার হওয়ার পর বাতিল হয়ে গিয়েছিল ভেলোর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন।
স্ত্যালিন জানিয়েছেন, "এক্সিট পোল যদি আমাদের পক্ষেও রায় দেয়, আমরা খুব গুরুত্ব দেব না"। পরে তিনি জানান তাঁর বাবা করুণানিধির সময় থেকেই এটাই ছিল দলের অবস্থান।
এক্সিট পোল নিয়ে একই মত তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামীর। তিনি বলছেন ২০১৬ সালে তাঁর হারের সম্ভাবনার কথা বলেছিল এক্সিট পোল, কিন্তু তা ভুল প্রমাণিত হয়। প্রসঙ্গত, এক্সিট পোল এবারেও বলছে পালানিস্বামীর দল এআইডিএমকে তেমন সুবিধে করতে পারবে না।
অন্যদিকে এক্সিট পোলে তেমন আস্থা নেই স্বয়ং উপরাষ্ট্রপতিরও। বেঙ্কাইয়া নাইডু সমমবার জানিয়েছেন , "এক্সিট পোল, এক্স্যাক্ট পোল নয়। সব দল এই কটা দিন বলবে, তারাই জিতবে। কিন্তু সে সব ভিত্তিহীন। তার চেয়ে ২৩ তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করাই ভাল।
দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেঙ্কাইয়া নাইডু এদিন বলেন, "আজকাল রাজনৈতিক ভাষণের মানও পড়ে যাচ্ছে। নেতারা একে অন্যকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। আসল কথাটাই ভুলে যাচ্ছেন সবাই, একে অন্যের প্রতিদ্বন্দী হতে পারেন, কিন্তু শত্রু নন"।