/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/04/madan-sujit.jpg)
ভোট শুরুর কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধাননগর কেন্দ্রে বুথ পরিদর্শনে বেরোন ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু। ঘুরতে ঘুরতে তিনি যান কালিন্দিতে। সেখানে ৬৭২ নম্বর বুথে প্রবেশ করতে গেলে সুজিত বসুকে আটকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। আইন অনুসারে প্রার্থী বুথে ঢুকতে পারবেন না বলে সুজিতবাবুকে বলেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তৃণমূল প্রার্থী তার বিরোধিতা করলে কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এরপরই বুথের সামনে দাঁড়িয়ে রিটার্নিং অফিসারকে ফোন করেন সুজিত বসু। এতেই সমস্যার সমাধান হয়। রিটার্নিং অফিসারের নির্দেশে ঘটনার মিনিট পাঁচেকের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা তৃণমূল প্রার্থীকে বুথের মধ্যে প্রবেশের অনুমতি দেন।
বাহিনীর বিরুদ্ধে 'অতিসক্রিয়তা'র অভিযোগ তুলেছেন বিধাননগরের তৃণমূল প্রার্থী। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে বলে অভিযোগ তাঁর। ওই সময় কালিন্দির ওই ভোটকেন্দ্রে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন দমদমের তৃণমূল প্রার্থী ব্রাত্য বসু। একই দাবি করেছেন রাজ্যের বিদায়ী মন্ত্রীো।
অন্যদিকে, কামারহাটি কেন্দ্রর আড়িয়াদহতে ১৬৫/১৬৬ বুথে ঢোকার পথে কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। বুথে প্রবেশের মুখে মা কালীর ছবিকে কেন্দ্র করে বিতর্কের সূত্রপাত। তল্লাশির পর মা কালীর ছবি নিয়ে বুথে ঢোকায় বাধা দেয় বাহিনী। এরপরই প্রতিবাদ জানান মদন মিত্র। চড়া সুরে বলেন, '‘আই অ্যাম মদন মিত্র। কেন আমাকে অবৈধভাবে বাধা দেওয়া হবে?’'পরে অবশ্য ছবি নিয়ে বুথে প্রবেশে তাঁকে ছাড় দেওয়া হয়। তিনি বলেন ‘বুথের মধ্যে ঢোকার আমরা পূর্ণ অধিকার আছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী আমরা পকেট দেখে। পকেটে কালী ঠাকুরের ছবি ছিল। এটা গণতান্ত্রিক দেশ। কেন মা কালীর ছবি নিয়ে ওরা যেতে দেবে না?’ এই ঘটনার কথা কমিশনকে জানাবেন বলে জানিয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল প্রার্থী।
I've full authority to enter a polling booth. They (Central forces) even searched my pocket in which I was carrying pictures of my goddess.This is a democratic country. I'm going to meet Chief Election Commissioner: TMC leader &candidate Madan Mitra,at booth no. 165/166 Kamarhati pic.twitter.com/T1Hqkod96e
— ANI (@ANI) April 17, 2021
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন