Advertisment

Lok Sabha Elections 2024: ভোটের আগে বড়সড় স্বস্তিতে কংগ্রেস, আয়কর মামলায় মিলল রেহাই

নির্বাচনের আগে বড়সড় স্বস্তি পেল শতাব্দী প্রাচীন দল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
congress income tax notice

কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খার্গ, সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী 21 মার্চ, 2024-এ একটি প্রেস কনফারেন্সের সময় (অনিল শর্মার এক্সপার্ট ফাইল ছবি)

'২৪ জুলাই পর্যন্ত আয়কর মামলায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না', সুপ্রিম কোর্টকে জানাল আয়কর বিভাগ। এর ফলে নির্বাচনের আগে বড়সড় স্বস্তি পেল শতাব্দী প্রাচীন দল।

Advertisment

কংগ্রেস শনিবারই ঘোষণা করেছে শুক্রবারই প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার আয়কর নোটিস পেয়েছে। ২০১৪-’১৫ এবং ২০১৬-’১৭ অর্থবর্ষের জন্য ১,৭৪৫ কোটি টাকা জরিমানা দিতে হবে। এর আগে ১৯৯৪-’৯৫, ২০১৭-’১৮ থেকে ২০২০-’২১ অর্থবর্ষের জন্য আয়কর নোটিস পাঠানো হয়েছিল। সেই অঙ্কটা ছিল প্রায় ১৮০০ কোটি। ফলে সব মিলিয়ে মোট ৩,৫৬৭ কোটি টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে কংগ্রেসকে।

ভোটের আগে আয়কর নোটিস ঘিরে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণে নামে কংগ্রেস। অভিযগ করে লোকসভা ভোটের আগে দলকে আর্থিকভাবে পঙ্গু করা চক্রান্ত করছে মোদী সরকার। এরপরই আজ আয়কর বিভাগ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছে, '২৪ জুলাই পর্যন্ত আয়কর মামলায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হবে না'।

আয়কর আদায়ে বড়সড় স্বস্তি পেল কংগ্রেস। সোমবার (১ এপ্রিল) আয়কর বিভাগের নোটিসের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আবেদনের উপর সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হয়। শুনানির সময় আয়কর বিভাগ আশ্বস্ত করে যে আপাতত এ বিষয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। এরপর সব পক্ষের কথা শুনে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে শুনানি ২৪ জুলাই পর্যন্ত পিছিয়ে দেয়।

শুনানির সময় আয়কর বিভাগের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা হাজির হন। তিনি বলেন, 'আমরা চাই না যে কোনও দল নির্বাচনী লড়াইয়ে সমস্যায় পড়ুক, তাই বর্তমানে ১৭০০ কোটি টাকা আদায়ের জন্য আয়কর বিভাগের তরফে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হবে না'।

আয়কর নোটিশের জবাবে কংগ্রেস অভিযোগ করেছিল যে এই নোটিসগুলি পাঠানো হয়েছিল যাতে দল নির্বাচনের আগে সমস্যায় পড়ে। রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে আয়োজিত জনসভায় রাহুল গান্ধীও এই অভিযোগ বলেছিলেন যে নির্বাচনের ঠিক আগে আমাদের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। উঠে আসে আয়করের মাধ্যমে পাঠানো নোটিসের বিষয়টিও। রাহুলের অভিযোগ, সরকার সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরের মাধ্যমে নির্বাচনে ম্যাচ ফিক্সিং করার চেষ্টা করছে।

loksabha election 2024
Advertisment