ভোটযুদ্ধে তো নয়ই, বাগযুদ্ধেও এক ইঞ্চি জমি ছাড়লেন না কেউ কাউকে। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় দফায় নজর ছিল হাইভোল্টেজ কেন্দ্র নন্দীগ্রামে। ভোটের শুরু থেকে শেষ, নির্বাচন হল একেবারে হাইভোল্টেজেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বনাম শুভেন্দু অধিকারীর লড়াই যেন জমজমাট। কিন্তু ভোট মিটতেই প্রাক্তন নেত্রীর বিরুদ্ধে 'ভোটচুরির' অভিযোগ আনলেন শিশির-পুত্র।
একুশের 'ভোটচুরি' নয়! ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হারের কারণ এবার ফাঁস করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তৎকালীন সময়ে তিনি ছিলেন মমতা-ঘনিষ্ট। একুশের পালাবদলে শিবির বদলে শুভেন্দু আসেন পদ্মে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনের শুরু থেকেই বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম কারসাজি, ভোটচুরির দাবি করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। যদিও নন্দীগ্রামে দ্বিতীয় দফার ভোট মিটতেই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা।
ঠিক কী জানিয়েছেন শুভেন্দু?
এদিন তিনি বলেন, "গতবারের সাধারণ নির্বাচনের সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলাশাসক এবং এসডিওকে চাপ দিয়েছিলেন। আরামবাগের বিজেপি প্রার্থী ২৫০০ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন। এর কারণ ১৬টি ইভিএম মেশিন গণনাই হয়নি। বিজেপি ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া জেলা পরিষদে জিতলেও রাতারাতি ইভিএমে পদ্ম প্রতীকের স্টিকার বদলে সেই জায়গায় জোড়াফুলের প্রতীকের স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়।”"
এদিন দুপুর পৌনে দুটো নাগাদ বয়াল মক্তব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বুথে পৌঁছান মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তৃণমূলনেত্রী সেখানে পৌঁছাতেই জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। এরই মধ্যে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরাও জড় হতে থাকেন ওই বুথের কাছে। দেখা দেয় চরম উত্তেজনা। যা নিয়ে দিনভর চলে অশান্তি। যদিও আত্মবিশ্বাসী মমতা বলেন, “নন্দীগ্রামে যতই কারচুপি হোক, জিতব আমিই” ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন