মুখ্যমন্ত্রী বেরনোর পর বয়ালের ৭ নম্বর বুথে যান শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী। নন্দীগ্রামে 'ছাপ্পা' ভোটের অভিযোগ করেছেন মমতা। পুননির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু, সেই দাবি নস্যাৎ করেছেন শুভেন্দু। তাঁর মতে, 'এবারই নন্দীগ্রামে সবচেয়ে বেশি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে।'
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
এদিন সকাল থেকেই উত্তেজনা ছিল নন্দীগ্রামে। সোনাচূড়া, বয়াল সহ নানা জায়গা থেকে আসছিল অশান্তির অভিযোগ। শাসক দলের পোলিং এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ করা হয়। কাঠগড়ায় তোলা হয় বিজেপিকে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এনিয়ে মুখ না খুললেও বেলা ২টো নাগাদ বাড়ির বাইরে বেরোন তৃণমূল নেত্রী। চলে যায় সোজা বয়ালে। সেখানকার বুথে তৃণমূল প্রার্থীকে দেখেই উত্তেজনা ছড়ায়। ভোট কেন্দ্রের বাইরে সংঘর্ষে জডা়য় তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকরা। তখন ভোট কেন্দ্রে বসেছিলেন মমতা। প্রায় ঘন্টা দু'য়েক পর বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বুথের বাইরে নিয়ে আসেন।
মমতা জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রামে জয় হবে তাঁরই। তবে গণতন্ত্রের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। অশান্তির জন্য সরাসরি বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুকে দায়ী করেন তিনি।
আরও পড়ুন- “নন্দীগ্রামে যতই কারচুপি হোক, জিতব আমিই”, আত্মবিশ্বাসী মমতা
তারপরই য়ালের ৭ নম্বর বুথে যান শুভেন্দু অধিকারী। বলেন, 'শেখ কুতুবুদ্দিনের নেতৃত্বে একটা বিশেষ সম্প্রদায়ের গুন্ডাদের উনি নিয়ে এসেছিলেন। তারা একানকার মা-বোনেদের অত্যাচার করেছেন। এর প্রতিবাদ করতে হবে।' বিজেপি কী এই বুথে পুননির্বাচন চাইছেন? জবাবে শুভেন্দু বলেন, 'কোনও বুথে রিপোল হবে না। নন্দীগ্রামে এবার ভালো ভোট হয়েছে। বেশি ভোট পড়েছে। পঞ্চায়েত ভোট এরা ভোট দিতে দেয়নি। কিন্তু এবার স্বতঃস্ফূর্ত ভোট হয়েছে।'
মুখ্যমন্ত্রী বুথের মধ্যে প্রায় ২ ঘন্টা ছিলেন। যা নিয়ে সরব বিজেপি। শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'উনি মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে এখানে আসেননি। তাঁর গলায় পরিচয়পত্র ছিল কিনা জানি না। তবে, প্রত্যেক প্রার্থীর জন্য কমিশনের নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। উনি এভাবে একটা বুথের ভিতরে থাকতে পারেন না। ভোট বন্ধ করিয়েছেন, অসুবিধা করেছেন। যেখানে নন্দীগ্রামে ৯০ শতাংশ ভোট হয়েছে, এই বুথে ৭৮ শতাংশ ভোট হটেছে।'