মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রী পদে তৃতীয়বারের শপথকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। একজন 'হারা প্রার্থীকে'কেন মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে হল- তা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই প্রক্ষিতে তৃণমূলকে ফের 'প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি'র সঙ্গে তুলনা করেছেন শুভেন্দু।
কী বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী?
ভোটের ফলপ্রকাশের পরে রাজ্য জুড়ে ঘটে চলা হিংসাত্মক ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দলের হেস্টিংস কার্যলয়ে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সেখানে ছিলেন দলের নবনির্বাচিত বিধায়করাও। তার আগে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে দিলীপ ঘোষ বিজেপি বিধায়কদের শপথবাক্য পাঠ করান। সংবিধানের মধ্যে রীতিনীতি মেনে দলের বিধায়কদের প্রকৃত বিরোধী ভূমিকা পালনের জন্য এই কর্মসূচি পালন করা হয়। বিজেপির এই কর্মসূচির সময়ই রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরই মাঝে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'ব্যক্তিগত ভাবে আমি সুখী। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস যে আসলে প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানি তা ফের প্রমাণিত। কারণ, যে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হেরেছেন, তিনিই ফের শপথ নিয়েছেন। হারা মুখ্যমন্ত্রীই শপথ ফের শপথ নিলেন।'
একুশের ভোটের নজরকাড়া কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। এই কেন্দ্রে মমতার বিরুদ্ধে শুভেন্দুর লড়াই ছিল হাড্ডাহাড্ডি। ভোটের ফলপ্রকাশ ঘিরেও তা নজরে পড়েছে। গণনায় কখনও এগিয়েছেন মমতা, আবার কখনও শুভেন্দু। কমিশন নন্দীগ্রামে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বিজয়ী হিসাবে ঘোষণার পরও অবশ্য আরও বড় নাটক সামনে আসে। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হাসেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীই। 'সম্মানের লড়াই'য়ে হেরে নন্দীগ্রামের ভোট গণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন মমতা। ওই কেন্দ্রে পুনর্গণনার জানায় তৃণমূল। তবে, গণনার পরদিন তোপ দেগে মমতা বলেন, রিটার্নিং অফিসার পুনর্গণনার নির্দেশ দিলে তাঁর প্রাণনাশের হুমকি রয়েছে বলে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের আরও-র মেসেজে খথোপকথনও। যদিও তৃণমূলের দাবি খারিজ করে দিয়েছে কমিশন।
ফলে দলের সঙ্গে দূরত্ব বৃদ্ধি, ডিসেম্বরে দলত্যাগ, ভোটের সময় চড়া সুর, প্রাক্তন নেত্রীকে প্রচারে ক্রমাগত নিশানা তো ছিলই, কিন্তু ভোটের পরও সেই ধারা অব্যাহত রাখলেন শুভেন্দু অধিকারী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন