বারাণসী থেকে সপ-বসপা-রাষ্ট্রীয় লোকদল মনোনীত প্রার্থী প্রাক্তন বিএসএফ জওয়ান তেজবাহাদুর যাদবের মনোনয়নমাত্র বাতিল হয়ে গেল। এই কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী ছিলেন তিনি। তেজবাহাদুর যাজব জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবেন।
৪৩ বছর বয়সী তেজবাহাদুর যাদব সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে জানিয়েছেন, "আমার মনোনয়ন ভুলভাবে বাতিল করা হয়েছে। আমায় গতকাল সন্ধে ৬টা ১৫-য় নথি জমা দিতে বলা হয়েছিব, আমরা নথি জমাও দিয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমার মনোনয়ন বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাব।"
তেজবাহাদুরের দুটি মনোনয়নপত্রের তথ্যে অসঙ্গতির অভিযোগে তাঁকে নোটিস দেওয়া হয়েছিল। সেই নোটিসের পরিপ্রেক্ষিতেই এ হেন সিদ্ধান্ত। বারাণসীতে ভোট হবে আগামী ১৯ মে।
প্রথমবার তেজবাহাদুর যাদব যে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন, তাতে তিনি উল্লেখ করেছিলেন যে তাঁকে বিএসএফ থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়বার সমাজবাদী পার্টির হয়ে তিনি যে মনোনয়নপত্র পেশ করেছিলেন, তাতে সে তথ্যের উল্লেখ করা ছিল না। বিএসএফের চাকরি থেকে কেন তাঁকে ছাড়িয়েদেওয়া হয়েছিল, তার উল্লেখ সহ বিএসএফের তরফ থেকে দেওয়া নো অবজেকশন সার্টিফিকেটও দাখিল করতে বলা হয়েছিল তাঁকে।
সীমান্তে কর্মরত জওয়ানদের নিকৃষ্ট মানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ তুলে একটি ভিডিও শেয়ার করে শিরোনামে আসেন তেজবাহাদুর। সেটা ২০১৭ সাল। সে ভিডিওতে তাঁর পরণে ছিল সেনা পোশাক। সে সময়ে তিনি নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই কর্মরত ছিলেন।
এর আগেই তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে বিজেপি বাগড়া দিচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তেজবাহাদুরের অভিযোগ ছিল, "দেশের নকল চৌকিদার আসল চৌকিদারকে ভয় পেয়েছে, তাই আমাকে ভোটে দাঁড়াতে দেওয়া হচ্ছে না।"
এ ঘটনার জেরে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে উদ্দেশ্য করে টুইট করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাতে তিনিও মোদীর ভয় পাওয়ার কথাই উল্লেখ করেছেন।
হিন্দিতে লেখা টুইটে কেজরিওয়াল বলেছেন, "ইতিহাসে এরকম কমই ঘটবে যখন দেশের একজন জওয়ান সে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানাতে বাধ্য হবেন, কিন্তু এই প্রথমবার এমন ঘটল যে একজন প্রধানমন্ত্রী একজন জওয়ানকে এত ভয় পেলেন যে তাঁর মনোনয়ন টেকনিক্যাল কারণে বাতিল হয়ে গেল। মোদীজি, আপনি খুবই দুর্বল। দেশের জওয়ান জিতে গিয়েছেন।"
Read the Full Story in English