১৮ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফার ভোট হয়েছিল এই শহরে। উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহর। ক্ষমতায় থাকা বিজেপির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে এসপি-বিএসপি-আরএলডি মহাগটবন্ধনের। এই ভোট বদলে দিল পবন কুমারের জীবন। ২৫ বছরের পবন ভোট দিতে গিয়ে ভুল করে অপছন্দের প্রার্থীকেই ভোট দিয়ে বসেন। ভুল বুঝতে পেরে নিজের ওপর রাগ হয় ভয়ঙ্কর। আর শেষমেশ আঙুলে ভোটের কালি লাগা অংশ কেটে ফেললেন নিজেই।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পবন কুমার, শিকারপুরের এক দলিত ভোটার নিজেই দাবি করছেন ভুল করে বিজেপিকে ভোট দেওয়ায় ভোটের কালি মাখা অংশ নিজেই কেটে ফেলেন তিনি। ইভিএম-এ প্রথমবার ভোট দিলেন পবন কুমার।
"ভুলটা আমি সহ্য করতে পারছিলাম না। বাড়ি এসে আমার হাত কেটে ফেলি। চাষবাসের কাজে নিজের পরিবারকে সাহায্য করা পবন জানালেন "বিগত পাঁচ বছরে কিছুই করেনি বিজেপি। মোদী সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য এবার সবাই মহাগটবন্ধনকে ভোট দেব বলে ঠিক করেছিলাম। খুব উত্তেজিত ছিলাম। ভুল করে বিজেপির ঘরে বোতাম টিপে দিয়েছি"।
আরও পড়ুন, ঝাড়গ্রামের এই রঙিন গ্রামে ভোটের রঙের প্রবেশ নিষেধ
পবনের পরিবার গ্রামের দলিত জাতভ গোষ্ঠীর সদস্য। সংখ্যায় জাতভরাই বেশি। মীনা এবং ঠাকুরদের থেকে এরা আলাদাই থাকে।
পবনের কাহিনী অনেকেই বিশ্বাস করেনি। এর মধ্যে পবনের ৫৫ বছরের মা শীলা দেবিও রয়েছেন। নাতনিকে আদর করতে করতে শীলা বললেন, "সত্যিটা কেন বলছ না? তুমি যে আবার ভোট দিতে চাও, সেটা বলছ না কেন? তাই জন্যেই তো আঙ্গুলের ওইটুকু কেটে ফেলেছ"।
আপাতত যাতে ইনফেকশন না ছড়ায়, হাতে রোজ ইনজেকশন নিতে হচ্ছে পবন কুমারকে। পবনের বাবা জয়পাল বলেছেন, "গণমাধ্যম এসে পবনের আঙুলের কাটা অংশের খোঁজ করেছিল, না পেয়ে পবনের ভিডিওই ইন্টারনেটে দিয়ে দিয়েছে"।
জয়পাল বাবুর ক্ষোভ, "এখন খবর নিয়ে কী হবে? এমনিতে তো কেউ খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না"।
পবনের পরিবারের অভিযোগ, এমন দুর্ঘটনার পর চিকিৎসাগত অথবা আর্থিক সাহায্যের জন্য কোনও দল থেকে কেউ এগিয়ে আসেনি। যদিও বুলন্দশহরের বিএসপি প্রার্থী কমল রাজন বলেছেন, সমস্ত রকম সাহায্য করতে তৈরি তাঁরা। "পরিবারের সদস্যরাই বলেছিলেন নিজেরা সামলে নেবেন। ছেলেটা খুব সাদা সিধে, বিজেপিকে ভুল করে ভোট দিয়ে ফেলে সহ্য করতে পারছে না। পরিবার চাইলেই সব রকম সাহায্য করতে তৈরি আমরা"।
Read the full story in English