ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পরপরই নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কটাক্ষ করেছিলেন, মোদী-শাহের কথায় কি বাংলায় ৮ দফা ভোট? সেই নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়েছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা উপনির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈনের অপসারণের দাবি তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন সুদীপ জৈনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছেন। সেই মর্মে চিঠি পাঠিয়েছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে।
সুদীপ জৈন রাজ্য পুলিশকে এড়িয়ে কাজ করছেন বলে অভিযোগ করেছেন আরেক তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, ‘‘যদি বিহার, তামিলনাড়ুতে এক দফায় ভোট হতে পারে, বাংলায় ৮ দফা কেন? সুদীপ জৈনের ইস্তফা দাবি করছি। এর আগেও ওঁর পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ আমাদের নজরে এসেছে। ২০১৯ সালে অমিত শাহের মিছিলের সময় বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙায় ভুল রিপোর্ট দিয়েছিলেন। উনি পক্ষপাতদুষ্ট, তাই সেই সময় প্রচার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কুইক রেসপন্স টিম চালু করেছিলেন। সংবিধান বহির্ভূত কাজ করেছিলেন।’’
একই অভিযোগ চিঠিতে লিখেছেন ডেরেক। বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা এবং লোকসভা নির্বাচনে কুইক রেসপন্স টিম গঠন নিয়েও কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেতা। ডেরেকের দাবি, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের ২ নম্বর ধারায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়টি রাজ্যের এক্তিয়ারভুক্ত। এমন সিদ্ধান্ত দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী বলে মত তাঁর। এর আগে তৃণমূলের অভিযোগের ভিত্তিতে, কোভিড টিকার সার্টিফিকেট এবং রাজ্যের সব পেট্রল পাম্পের সামনে থেকে মোদীর পোস্টার-ব্যানার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সরানোর নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এবার ডেরেকের অভিযোগে কী পদক্ষেপ করে কমিশন সেটাই দেখার।