প্রথম দফার নির্বাচন ৩০ আসনে। এইসব আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য বুধবার তৃণমূলের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে। বঙ্গ রাজনীতির পরিস্থিতি জটিল। বাংলা জয়ে পাখির চোখ বিজেপির। অন্যদিকে, ব্রিগেডের সভায় আব্বাস উদ্দিনের জনপ্রিয়তাও বাবাচ্ছে জোড়া-ফুল শিবিরকে চাই অতীতে মতো ভোট ঘোষণার দিন বা তার পর দিনই নয়, বরং ধীরেসুস্থে নানা দিক বিচার-বিবেচনা করে দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
প্রথম পর্যায়ে মনোনয়ন পেশের সূচনা বুধবার ও শেষ দিন ৯ মার্চ। বুধবার তালিকা প্রকাশ করা হলে শাসক দলের প্রার্থীরা প্রায় সাত দিন মনোনয়নের জন্য হাতে সময় পাবেন। জানা গিয়েছে, দ্বিতীয় দফার জন্য আগামী শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারে ঘাস-ফুল নেতৃত্ব। সোমবার বসেছিল তৃণমূলের নির্বাচন কমিটির বৈঠক। সেখানেই প্রার্থীর নামে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়েছে।
প্রার্থী পদ ঘোষণা হলেই দলের অন্দরে ক্ষোব-বিক্ষোভ থাকবে, বিক্ষুব্ধরা অন্য দলে চলে যেতে পারেন। এই শঙ্কা থেকেই কিছুটা ধীরে চল নীতি তৃণমূল নেতৃত্ব নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, ৪ মার্চ বিজেপির নির্বাচন কমিটির বৈঠক রয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, বৈঠকের পর ওই দিন রাতে বা শুক্রবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে বিজেপি। এক আসনে একাধিক নামের প্রস্তাব কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে জমা হয়েছে। ফলে একদিকে, আদি-নব্য বিবাদ মেটানো। অন্যদিকে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক শিবিরকে মেপে কৌশলী পদক্ষেপ করতে চাইছে গেরুয়া শিবির। তাই কিছুটা দেরি করেই এবার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে চাইছে পদ্ম ব্রিগেড।
বাম-কংগ্রেস জোট নিশ্চিত হলেও আসন রফা নিয়ে হাত শিবিরের সঙ্গে আইএসএফ-য়ের বিরোধ এখনও কাঁটা হয়ে বিঁধছে। আলোচনা এগোলেও এখনও কিছু চূড়ান্ত হয়নি। কিন্তু, নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। তাই আগামী ৮ মার্চ সিপিএম নেতৃত্বাধীন বামফ্রন্ট তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে দিতে পারে বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
যুযুধান বিজেপি হোক বা তৃণমূল, নিয়ম করে টলি তারকারা এবার এই দুই দলেই নাম লিখিয়েছেন। কৌশানী, সায়নী, জুন মালিয়া, কাঞ্চন, পরিচালক রাজ চক্রবর্তীরা যেন জোড়া-ফুলে যোগ দিয়েছেন, তেমনই পদ্ম পতাকা হাতে তুলে নিয়েছেন শ্রাবন্তী, পায়েল, হিরণ, যসের মতো তারকারা। ভোট ময়দানে এবার এইসব তারকাদের বেশি করে দেখা যাবে বলেই অনুমান। তাই তৃণমূল-বিজেপির প্রার্থী তালিকায় এবার রূপোলি চমকের অপেক্ষা।
বামেরাও পিছিয়ে নেই। ব্রিগেডে দলের যুব মুখদের দায়িত্ব নিতে দেখা গিয়েছে। ছিলেন, শ্রীলেখা মিত্র, সব্যসাচী চক্রবর্তী, বাদশা মৈত্র, দেবদূত ঘোষরা। প্রথম থেকেই এরা বাম মনস্ক বলে পরিচতি। সূত্রে খবর, সংখ্যায় কম হলেও রুপোলি পর্দার এইসব পরিচিত মুখদেরও এবার ভোটে প্রার্থী করতে পারে সিপিএম।
তবে, জানা গিয়েছে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, বিনয় চৌধুরী, আনিসুর রহমানের মত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীরা এবার আর ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবন না। এঁদের জায়গায় এলাকায় পরিচিত অপেক্ষাকৃত তরুণ মুখ দলের প্রার্থী হবে। লড়াইয়ে নামতে পারেন জেল থেকে মুক্ত সুশান্ত ঘোষ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন