সিঙ্গুরের রঙ গেরুয়া, এখানেও পিছিয়ে পড়ল তৃণমূল

সিঙ্গুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের চেয়ে ১০,৪২৯ ভোট বেশি পেয়েছেন হুগলি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেটের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৪৬.০৬ শতাংশ, রত্না পেয়েছেন ৪১.০৩ শতাংশ ভোট।

সিঙ্গুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের চেয়ে ১০,৪২৯ ভোট বেশি পেয়েছেন হুগলি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেটের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৪৬.০৬ শতাংশ, রত্না পেয়েছেন ৪১.০৩ শতাংশ ভোট।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
trinamool congress singur

সিঙ্গুরেও গেরুয়া ঝড়। ছবি: রভিক ভট্টাচার্য, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘরেই পিছিয়ে পড়ল তৃণমূল। বাম আমলের শেষ লগ্নে সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের জমিরক্ষার আন্দোলন থেকেই রাজ্যের রাজপাট দখলের চূড়ান্ত দৌড় শুরু করেছিল তৃণমূল। তারপর থেকেই সিঙ্গুর এবং তৃণমূল প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছিল। ২০০৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচন, ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচন, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন, ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন - প্রতিটি নির্বাচনেই তৃণমূলকে বিপুল ভোটে জিতিয়েছিলেন সিঙ্গুরের মানুষ। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে বছর তিনেক আগে টাটাদের প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা জমিও ফেরত পেয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এবারের ভোটে হল উলটপুরাণ, গেরুয়া ঝড়ে ভেসে গেল সিঙ্গুরও।

Advertisment

সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল অনুযায়ী, সিঙ্গুর বিধানসভায় তৃণমূল প্রার্থী রত্না দে নাগের চেয়ে ১০,৪২৯ ভোট বেশি পেয়েছেন হুগলি লোকসভার বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লকেটের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ ৪৬.০৬ শতাংশ, রত্না পেয়েছেন ৪১.০৩ শতাংশ ভোট। টাটাদের প্রকল্প এলাকাতেও শোচনীয় ফলাফল হয়েছে তৃণমূলের। যে তিনটি মৌজার জমি ওই প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা হয়েছিল, তার দুটিতে অধিকাংশ পঞ্চায়েত আসনে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। গোপালনগরে মোট ১৮টি পঞ্চায়েত আসনের মধ্যে ১১টিতে জিতেছে বিজেপি, ৭টিতে তৃণমূল। কেজিডি এলাকাতেও একই ফল হয়েছে। কেবল বেড়াবেড়ির অধিকাংশ আসন পেয়েছে তৃণমূল।

সিঙ্গুরের এমন ফলাফলে অবশ্য অবাক নন জমি আন্দোলনের নেতারা। সিঙ্গুরের বিধায়ক তথা প্রবীন তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য বলেন, "আমাদের আত্মসমীক্ষা প্রয়োজন। পঞ্চায়েত সদস্যদের আচরণ, অহমিকা, দলকে জনবিচ্ছিন্ন করছে কিনা, খতিয়ে দেখা জরুরি। মানুষই আন্দোলনের জন্ম দেন, মানুষই ক্ষমতায় আনেন। সেই মানুষ যা বার্তা দিয়েছেন, তার গুরুত্ব অনেক।" হরিপালের বিধায়ক তথা কৃষিজমি রক্ষা কমিটির অন্যতম আহ্বায়ক বেচারাম মান্নার কথায়, "কিছু দুর্বলতা নিশ্চয় রয়েছে। সেগুলিকে চিহ্নিত করতে হবে। নাহলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি এড়ানো যাবে না।"

tmc bjp