নন্দীগ্রাম! রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে এক অধ্যায়। নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলন করেই তৃণমূলের রাজনৈতিক উত্থান। আবার একুশের ভোটে হাই-প্রোফাইল কেন্দ্র সেই নন্দীগ্রামই। এখান থেকেই এবার ভোটে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিপক্ষ বিজেপির শুভেন্দু। শেষ কর্মীসভায় গত মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে গিয়ে জমি আন্দোলনে তাঁর অবদানের উল্লেখ করে পুরনো আবেগ উস্কে দিয়েছিলেন মমতা। এবার তাই 'নন্দীগ্রাম দিবসে'ই জোড়া-ফুলের ইস্তেহার প্রকাশিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, হাসপাতাল থেকে এই সিদ্ধান্তে সম্মতি দিয়েছেন দলনেত্রীও। নন্দীগ্রাম দিবসে ইস্তেহার প্রকাশ করে 'কঠিন লড়াই'য়ে নন্দীগ্রামকে তিনি বার্তা দিতে মরিয়া বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নন্দীগ্রাম থেকে ফিরে গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলে ইস্তেহার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত দিয়ে প্রকাশিত হবে বলে নির্ধারিত ছিল। কিন্তু, বুধবার প্রচারে বেরিয়ে আঘাত পান তৃণমূল নেত্রী। তড়িঘড়ি তাঁকে ফিরিয়ে আনা হয় কলাকাতয়। পরে শারীরিক পরীক্ষার পর দেখা যায় মমতার বাঁ পায়ের হাড়ে চির ধরেছে। আপাতত তাঁর পায়ে প্লাসটার বাঁধা রয়েছে। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবারের একুশের ভোটে র ইস্তেহার প্রকাশ কর্মসূচি বাতিল করে দেয় তৃণমূল। জানানো হয় পর নির্দিষ্ট সময়ে তা প্রকাশ করা হবে।
আরও পড়ুন: কমিশনের সিদ্ধান্তেই সিলমোহর, জয়পুরের তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ডিভিশন বেঞ্চের
যদিও প্রথম পর্বের ভোটের আগে আর বেশি সময় নেই। তাই হাসপাতাল থেকেই ইস্তেহার যত দ্রুত সম্ভব প্রকাশের নির্দেশ দেন মমতা। তৃণমূল সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। এরপরই স্থির হয় শনিবার ১৪ মার্চ, রবিবার নন্দীগ্রাম দিবসেই হবে তৃণমূলের ইস্তেহার প্রকাশ।
গত ১০ বছরে রাজ্যে কী উন্নয়ন করেছে মমতার সরকার, ইস্তেহারে মূলত তারই উল্লেখ থাকবে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন