বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ভয় পেয়ে নার্ভাস হয়ে ভুল বকছেন। মালদায় বিজেপির জনসভার পর এই ভাষাতেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েন। অমিত শাহর কুস্তিগীর হওয়া উচিত ছিল বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
রথ বা ব্রিগেড না হওয়ায় বিজেপি রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহকে দিয়ে জনসভা করানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা না আসতে পারলে অন্য কোনও কেন্দ্রীয় নেতা বক্তা হিসাবে সভায় হাজির থাকবেন। মঙ্গলবার মালদায় লোকসভা নির্বাচনের দামামা বাজিয়ে কড়া ভাষায় তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমন করেছেন অমিত শাহ। তাঁর বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তৃণমূল। এদিন সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন বলেন, "মালদায় বিজেপি সভাপতির বক্তব্য শোনার পর বোঝা যাচ্ছে খুব ভয় পেয়েছেন, নার্ভাস হয়ে যাচ্ছেন। কারণ, বিজেপি জানে ওদের সময় শেষ হয়ে এসেছে। ওরা রাজনৈতিক ভাবে ভীত। ওদের বক্তব্য খুবই নিম্ন রুচির। এবং প্রতিটি তথ্য ভুলে ভরা।" ডেরেকের দাবি, "ওঁরা বাংলার সংস্কৃতি বোঝেন না। ভারতের সংস্কৃতিও বোঝেন না। কেউ কেউ বলছেন ওঁরা মরিয়া। কেউ কেউ বলছেন ওঁরা পাগল। ওঁরা দুটোই।"
অমিত শাহর বক্তব্য তীব্র ভাষায় খণ্ডন করেছেন মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিমও। ফিরহাদের বক্তব্য, "বিজেপি আর কখনও ক্ষমতায় কোনওদিন আসবে না। এখানে দুটো আসন আছে, শূন্য হয়ে যাবে। এখানে কোনও সিন্ডিকেট ট্যাক্স লাগে না। সিন্ডিকেট ট্যাক্স যতদিন নরেন্দ্র মোদী গুজরাটে ছিলেন, ততদিন সেখানে দিতে হত। অমিত শাহ যেখানে আছেন, সেখানে লাগে। সিন্ডিকেট ট্যাক্স দিয়ে ওঁদের পার্টি অফিস হয়।" ফিরহাদের কটাক্ষ, "ওঁর (অমিত শাহ) কুস্তিগীর হওয়া উচিত ছিল।"
বিজেপিকে দাঙ্গাবাজ পার্টি বলেও বর্ণনা করেন কলকাতার মেয়র। তিনি বলেন, "আদালতও বলছে ওরা দাঙ্গাবাজ পার্টি। ওদের মত বিভেদ সৃষ্টি করতে চায় না বাংলা। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নামে মোদীর বিজ্ঞাপন কেন করব? মোদীর নাম করে রাজনীতি করছে, তাতে দেশের আপত্তি আছে।"