বাংলায় মমতার মতোই জনপ্রিয় মোদী। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অ্যান্টি ইনকমবেন্সি রয়েছে। এছাড়াও বিজেপির ভোট মেরুকরণের ক্ষমতা রয়েছে। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু তোষণের অভিযোগও স্বীকার করে নিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। যার জেরেই বাংলায় ধাক্কা খেতে পারে তৃণমূল। জোড়া-ফুলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের চাঞ্চল্যকর এই অডিও ফাঁস করেছেন বাংলায় বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক তথা দলের আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। প্রকাশিত এই অডিও টেপের সত্য যাচাই করেনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা। তবে, বলাই বাহুল্য যে বাংলায় চতুর্থ দফার ভোটের সকালে নয়া মাত্রা পেল অডিয়ো টেপের রাজনীতি।
শনিবার সকালে একাধিক অডিয়ো টেপ প্রকাশ করেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান তথা রাজ্যের সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য। প্রথম অডিয়ো টেপে যে ব্যক্তি বাংলার রাজনীতিতে সংখ্যালঘু ভোট ও তাদের তোষণ নিয়ে নিয়ে কথা বলছেন তিনি প্রশান্ত কিশোর বলে দাবি অমিত মালব্যর।
প্রকাশিত অডিও টেপের একটিতে বলা হচ্ছে, 'বড় সমস্যাটা হল, যা আমাদের মানতেই হবে তা হল, গত ২০ বছর ধরে সংখ্যালঘুদের ব্যাপকহারে তোষণের জন্য সবকিছু করা হয়েছে। বাংলার দিকে দেখুন। যে দলকে মুসলিমরা ভোট দেবেন, তারা সরকার গড়বে। এখানকার রাজনীতির এটাই গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। কংগ্রেস, বাম, বা দিদি হোন - মুসলিম ভোট পাওয়ার দিকে সকলেই নজর দিয়েছেন। এর বিপরীত প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে। সব হিন্দুরাই সাম্প্রদায়িক হয়ে গিয়েছেন এমন নয়। কিন্তু প্রথমবার হিন্দুরা ভাবছেন যে আমাদের কথাও কেউ তুলে ধরছে। আর এটারই সদ্ব্যবহার করছে বিজেপি। আর সেই সুযোগটা কোনও না কোনওভাবে এসেছে সংখ্যালঘু রাজনীতির চূড়ান্ত অপব্যবহার থেকে।'
অন্য একটি প্রকাশিত অডিওতে বলা হয়েছে, 'বাংলায় মোদী জনপ্রিয়। তাঁকে দেখেই এরাজ্যে বিজেপির ভোট ব্যাংক তৈরি হয়েছে। মোদীর সভায় ভিড়ও হচ্ছে। এছাড়া, কিছুটা বিজেপি সাংগঠনিকভাবে করছে, স্বতঃস্ফূর্তভাবেও হচ্ছে।'
বাংলার অধিকাংশ হিন্দিভাষী ভোট, প্রায় ২৭ শতাংশ দলিত ভোটের বেশিরভাগই বিজেপির সমর্থক বলে অডিও টেপে দাবি করা হয়েছে। মতুয়ারা লোকসভার মতো বিজেপির ফরে এককাট্টাভাবে ভোট দিলেও এবারও তাঁদের অনেকেই গেরুয়া দলের পক্ষে ভোট দেবেন বলে দাবি করা হয়েছে।
আর এরপরই ওই অডিও টেপকে ঘিরে বঙ্গ রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। অডিও টেপের বক্তাকে প্রশান্ত কিশোর বলে দাবি করেছে বিজেপি। সেই সূত্রেই পদ্ম বাহিনীর দাবি, তুষ্টিকরের যে অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে তারা করেন তা মেনে নেওয়া হয়েছে। এবার ভোটে যে বিজেপি বাংলা দখল করছে তা ঘরোয়া আলোচনায় এককথায় স্বীকার করেছেন তৃণমূলের ভোট কুশলী।
যদিও, টুইটেই এর জবাব দিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অর্ধেক অডিও টেপ নয়, সম্পূর্ণ ক্লাবহাউস টেপ প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'আমার ক্লাবহাউস চ্যাটটি ওঁদের নেতাদের কথার চেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এতে আমি আনন্দিত। কথোপকথনের অংশ বেছে বেছে তা প্রকাশ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ কথোপকথন প্রকাশের জন্য অনুরোধ করছি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন