প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। এই অভিযোগের বিহিত চেয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হবে শাসক দল। মঙ্গলবার জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। তাঁর অভিযোগ, ‘টিকা প্রাপকদের যে শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে, তাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি রয়েছে। এটা কি নির্বাচনী বিধিভঙ্গ নয়? যেখানে ইতিমধ্যে ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে।‘
তিনি ট্যুইটে জানান, সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হবে। দল আবেদন করবে অবিলম্বে কোভিড শংসাপত্র থেকে সরানো হোক প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এমনটাই ট্যুইটে জানিয়েছেন ডেরেক ও ব্রায়েন। জানা গিয়েছে, সার্টিফিকেটের একদম নীচে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর ছবি। এদিন তিনি লোকসভা টিভি আর রাজ্যসভার টিভির সংযুক্তি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। সম্প্রতি ক্যাবিনেট সিদ্ধান্ত নিয়েছে লোকসভা আর রাজ্যসভা টিভিকে জুড়ে একটাই সংসদ টিভি প্রচার মাধ্যম হিসেবে রাখা হবে।
এদিকে, ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে কারচুপি চলছে লালবাজারের অন্দরে। পোস্টাল ব্যালটের জন্য পুলিশ কর্মীদের পরিচয়পত্র সংগ্রহ করা হচ্ছে। যা আদতে ভোটে প্রভাব খাটানোর সুচারু পরিকল্পনা। আর এই ঘটনার নেতৃত্বে রয়েছেন কালীঘাট থানার ওসি শান্তনু সিনহা বিশ্বাস। তাঁকে সহায়তা করছেন আরও দুই পদস্থ পুলিশ কর্তা তপন কুমার মাইতি ও বিজিতাশ্ব রাউত। প্রক্সি ভোটের জন্য এই পরিচয়পত্র সংগ্রহের কাজ করা হয়েছে। সোমবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে চিঠি দিয়ে মারাত্মক এই অভিযোগ করা হয়েছে গেরুয়া শিবিরের তরফে।
বিজেপি প্রতিনিধিদের এই চিঠিতে উল্লেখ, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি কলকাতার উত্তীর্ণ সভাঘরে রাজ্য শাসকদলের একটি সভায় হাজির ছিলেন বেশ কিছু পুলিশ কর্মী। যেখানে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির উপস্থিতিতে কলকাতা পুলিশের একাধিক কর্মীর হাতে শাসকদলের পতাকা দেখা গিয়েছিল।
অবিলম্বে কারচুপির এই অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ ও কালীঘাট থানার ওসি সহ তিন পুলিশ আধিকারিককে সাসপেন্ড করারও আবেদন জানিয়ে বিজেপির তরফে এদিন নগরপালেপর কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই চিঠিতে সাক্ষর রয়েছে, বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত, বিজেপির নির্বাচনী দলের সদস্য বিধায়র সব্যসাচী দত্ত এবং শিশির বাজোরিয়ার।