রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্যে সরকার গঠনের জন্য তৃণমূল ছাড়া আর কোনও বিকল্প নেই এবং সামনের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২ টি আসনই টিএমসির দখলে আসতে চলেছে। একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সাংসদ বলেন, "প্রথম থেকেই আমরা বলে আসছি যে রাজ্যে ৪২ টা আসনেই জিতব... পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের কোনও বিকল্প নেই। বিজেপির এখানে আসার কোনও সম্ভবনাই নেই।"
বিজেপি নেতৃত্ব রাজ্যে প্রচার শুরু করার কিছুদিন আগেই সুদীপবাবুর এই ধরনের মন্তব্যে বিরোধী শিবিরে কিছুটা হলেও আলোড়ন উঠতে বাধ্য। আগামী সপ্তাহগুলিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারা রাজ্যে সামবেশ করবেন। বাংলায় ২২টি আসন জেতার লক্ষ্যে রাজ্য নেতৃত্বকে এগিয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছে বিজেপি।
আরও পড়ুন, ব্রিগেডের সভা ভরাতে শরিকদের ওপর তেমন ভরসা করছে না সিপিএম
বিজেপির এই লক্ষ্যমাত্রাকে "নিছকই স্বপ্ন" হিসাবে বর্ণনা করে রাজ্যের মন্ত্রী ও মেয়র ফিরহাদ হাকিম অভিযোগ করেন, বিজেপি পরিচালিত এনডিএ সরকার কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে বিরোধী দলের কন্ঠরোধ করার উদ্দেশ্যে ব্যবহার করছে। তিনি বলেন, "গণতন্ত্রে বিরোধী স্বর থাকবেই। কিন্তু এখন কেন্দ্রীয় সরকার কী করছে? বিরোধী দলকে চুপ করানোর জন্য সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দফতরকে ব্যবহার করছে। তারা বিরোধী দলগুলিকে ভয় দেখিয়ে, মুখ বন্ধ করিয়ে বিরোধি-মুক্ত দেশ গঠন করতে চাইছে।"
এদিকে বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেছেন, "সাধারণ নির্বাচন রাজ্যে বিজেপির ক্ষমতা দেখিয়ে দেবে।" হাওড়ার এক সমাবেশে এই বিজেপি নেতা বলেন, "তৃণমূল সরকারের জমানায় পশ্চিমবঙ্গে জরুরী অবস্থার পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। আমরা রাজ্যে রথযাত্রা করতে পারব না। হেলিকপ্টার নামার অনুমতি নেই। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৩৫ শতাংশ আসনে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। এখানে তো সিন্ডিকেট করও দিতে হয়। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে যা অবস্থা ছিল এখন বাংলায় তার চেয়েও খারাপ অবস্থা চলছে।"
Read the full story in English