সাধারণ নির্বাচনের আগে দলবদল। ত্রিপুরার রাজ্য বিজেপি-র সহ সভাপতি সুবল ভৌমিক যোগ দিলেন কংগ্রেসে। বিজেপি-র কাছে 'বোঝা' হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি, এই কারণ দেখিয়ে কংগ্রেসে যোগ দিলেন। প্রাক্তন মন্ত্রী এবং বিজেপি নেতা প্রকাশ দাস, সিপিআই (এম) কাউন্সিলার দেবাশিস সেন, বিজেপি কিষান মোর্চা সহ সভাপতি প্রেমোতোষ দেবনাথও একই সঙ্গে যোগ দিলেন কংগ্রেসে। রাহুল গান্ধীর ত্রিপুরা ভ্রমণের ২৪ ঘণ্টার আগেই প্রকাশ্যে এল দলবদলের সিদ্ধান্ত।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে সুবল ভৌমিক রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি প্রদ্যোত কিশোর মানিক্যের সঙ্গে মধ্যরাত পর্যন্ত বৈঠক করেন। এরপরেই নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন তিনি।
জানা গিয়েছে মানিক্য তাঁকে পশ্চিম ত্রিপুরার টিকিট দিতে রাজি হয়েছেন। মানিক্য একে 'ঘরে ফেরা' হিসেবেই দেখছেন। কারণ নিজের রাজনৈতিক জীবন কংগ্রেসেই শুরু করেছিলেন সুবল ভৌমিক। আসন্ন লোকসভায় বিজেপিকে হারানোর ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী কিশোর মানিক্য।
ভোটের আরও খবর পড়তে চোখ রাখুন
সুবল ভৌমিক জানিয়েছেন, মঙ্গলবার তিনি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছেন। রাহুল গান্ধী খুমুলাঙের সভা থেকে তাঁর প্রার্থীপদ ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। বুধবার ত্রিপুরার খুমুলাঙে খুমপুই অ্যাকাডেমির মাঠে সভা করবেন রাহুল গান্ধী। আগরতলার কাছে খুমুলাঙেই ট্রাইবাল অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলের সদর দফতর। প্রসঙ্গত সুবল ভৌমিক রাজ্যের প্রাক্তন বিধায়কও বটে। তার সাংগঠনিক দক্ষতাও রয়েছে। কয়েকবছর আগে দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে ব্যবধান বাড়ায় তিনি কংগ্রেস ত্যাগ করেন। আঞ্চলিক দলও গঠন করেছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন।
"বিজেপির ভেতরেই দলের সভাপতিত্বের জন্য আমার বিরোধিতা করেছিলেন অনেকে। কারণ এতে বিজেপি-আইপিএফটি জোট ভেঙ্গে যেতে পারেন, এই আশঙ্কা করেছিলেন অনেকেই। কয়েকজন বলেছিলেন আমার সভাপতিত্বে সরকারের মধ্যেই চিড় ধরতে পারে। এই অবস্থায় আমি দলের বোঝা হতে চাইনি। আমি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি"।
Read the full story in English